কোটাব্যবস্থার বিরুদ্ধে বুয়েট শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন, মৌন সমাবেশ
চলমান কোটা সংস্কার ও মেধাভিত্তিক নিয়োগে সরকারি পরিপত্র বহাল রাখার দাবিতে আন্দোলনরতদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে মানববন্ধন ও মৌন সমাবেশ করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
বুয়েটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুর সোয়া ১২টায় মানববন্ধন করেন তারা। এসময় শিক্ষার্থীদের কাছে ছিল ২০১৮ সালের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কোটা বাতিলের পরিপত্রটি পুনর্বহালের দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার।
২০১৮ সালের পরিপত্রে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে সরাসরি মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ঘোষণা দেয় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, সরকার সকল সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত/আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন করপোরেশনের চাকরিতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ১৯৯৭ সালের ১৭ মার্চ তারিখের স্মারকে উল্লেখিত কোটা পদ্ধতি সংশোধন করিল।
সংশোধনের ক্ষেত্রে 'ক' অংশে বলা হয়, নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং দশম-১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা হইবে।
'খ' অংশে বলা হয়, নবম গ্রেড (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) এবং ১০-১৩তম গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা বাতিল করা হইলো।
বাতিল হওয়া কোটার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ, অনগ্রসর জেলার বাসিন্দাদের জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষের জন্য ৫ শতাংশ আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিল।
২০২১ সালে এই পরিপত্রের 'মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে'র অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করেন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
চলতি বছরের ৫ জুন সেই রিটের রায়ে পরিপত্রের ওই অংশ অবৈধ ঘোষণা করেন আদালত। আদালত ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবরে কোটা বাতিল করে পরিপত্র জারি করাও অবৈধ ঘোষণা করেন।
এ রায়ের পরেই কোটাসংস্কারের দাবি আন্দোলনে নামেন ছাত্ররা।
এর আগে গত ৪ জুলাই আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে জানান, রাষ্ট্রপক্ষ চাইলে এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবে।