‘হাইকোর্টের রায় আন্দোলন থামানোর কৌশল’: কোটা আন্দোলনের সমন্বয়কারী হাসনাত আব্দুল্লাহ
![](https://www.tbsnews.net/bangla/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/07/10/hasnat.jpg)
হাইকোর্টের রায়কে আন্দোলন থামানোর একটি কৌশল বলে জানিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়কারী হাসনাত আব্দুল্লাহ।
আজ বুধবার (১০ জুলাই) সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুই শিক্ষার্থীর করা আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে গঠিত আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আপিল বিভাগের আদেশের পর হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, 'আমরা রায়টিকে পর্যালোচনা করছি। আমাদের দাবি নির্বাহী বিভাগের কাছে। আমরা চাই একটা কমিশন গঠন করে কোটাকে একটি যৌক্তিক পর্যায়ে আনা হোক।'
তিনি আরও বলেন, 'আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ আমাদের আন্দোলনকে থামানোর অপচেষ্টা বলে আমরা মনে করছি। নির্বাহী বিভাগ থেকে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।'
গতকাল (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছিলেন, 'আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরোধিতা করছি না। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিদের কোটা ও পৌষ্য কোটাকে আমরা অযৌক্তিক মনে করছি।'
আন্দোলনকারীদের দাবি রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগের কাছে জানিয়ে হাসনাত বলেছিলেন, 'যেহেতু আমাদের দাবি সকল গ্রেডের প্রেক্ষিতে, সেহেতু বিষয়টি আদালতের চলমান মামলায় চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করা সম্ভব নয়।'
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কেবল প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সর্বোচ্চ পাঁচ শতাংশ কোটাকে যৌক্তিক বলে মনে করেন উল্লেখ করে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে একটি কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেছেন।
এ ব্যাপারে হাসনাত আবদুল্লাহ সংবাদ মাধ্যমে বলেন, 'আমাদের আন্দোলন কোটা বাতিলের নয় বরং বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কোটা সংস্কার করা। এজন্য একটি কমিশন গঠন করে আমাদের দাবি পূরণের প্রক্রিয়া শুরু হলে আমরা সাধুবাদ জানাব,' বলেন তিনি।
সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাশ করে কোঠা পদ্ধতিকে সংস্কার করা— এ দাবিতে আজ সকাল থেকে 'বাংলা ব্লকেড' এর অংশ হিসেবে শাহবাগ অবরোধ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যথাক্রমে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, রাজশাহী-ঢাকা ও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করেন।