‘বাংলাদেশে দেখা গুলি ব্যবহারের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছি’: জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বুধবার (৩১ জুলাই) বলেছেন, জাতিসংঘ 'বাংলাদেশে [সংঘর্ষে] প্রাণঘাতী গুলির' ব্যবহার দেখেছে এবং এর নিন্দা জানিয়েছে।
'বাংলাদেশে হোক বা অন্য কোথাও, সরকারকে মানুষের শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করার অধিকার এবং সাংবাদিকদের স্বাধীন ও নিরবচ্ছিন্নভাবে তাদের কাজ করার অধিকার রক্ষা করতে হবে,' জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতা ও প্রাণহানির প্রসঙ্গে বলেন তিনি।
সাম্প্রতিক সহিংসতার বিষয়ে জাতিসংঘ রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানের কোনো তদন্তে সহায়তা করবে কি না এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা অবশ্যই সবসময় যেকোনো জায়গায় কোনো সরকারের সমস্যা নিয়ে সাহায্যের অনুরোধে সরকারকে সাহায্য করতে প্রস্তুত রয়েছি। কীভাবে এ সাহায্য করা যায়, তা আমরা দেখি।'
জাতিসংঘ এ ঘটনায় নিজস্ব তদন্ত শুরু করবে কি না সে বিষয়ে তিনি বলেন, 'স্বাধীন তদন্তের জন্য — আপনারা জানেন — এ সংস্থার [জাতিসংঘ] আইন প্রণয়নকারী পরিষদের ম্যান্ডেটের প্রয়োজন হবে।'
প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে স্টিফেন ডুজারিক আরও বলেন, 'আমি আপনাদের [সাংবাদিকদের] বলতে পারি, যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সহিংসতা আমরা দেখেছি, তা সত্ত্বেও সবাইকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ যে, বাংলাদেশে মানবিক সংকট চলছে। আমরা এবং আমাদের অংশীদারেরা ঘূর্ণিঝড় রিমালসহ বেশ কয়েকটি জরুরি পরিস্থিতিতে [বাংলাদেশের] ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সহায়তা প্রদান সবসময় অব্যাহত রেখেছি।
'আমাদের অংশীদারেরা অপারেশনাল চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন — বলা বাহুল্য, এসব চ্যালেঞ্জের মধ্যে স্পষ্টতই ইন্টারনেট বিভ্রাট, ব্যাংক বন্ধ এবং কারফিউ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে,' তিনি আরও বলেন।
ডুজারিক বলেন, গত মাসে জাতিসংঘ ও এর অংশীদারেরা ১২ লাখ মানুষকে সহায়তা করার জন্য ৮০ মিলিয়ন ডলারের হিউম্যানিটেরিয়ান রেসপন্স প্ল্যান চালু করেছে। 'বর্তমানে এ পরিকল্পনার কেবল ১৮ শতাংশ অর্থায়ন করা হয়েছে।'
'আর হ্যাঁ, মিয়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদের জন্য এবং [বাংলাদেশের] হোস্ট সম্প্রদায়কে সহায়তার লক্ষ্যে কক্সবাজারে একটি বিশাল মানবিক কার্যক্রমও রয়েছে,' তিনি আরও বলেন।