আবু সাঈদ নিহতে জড়িত থাকার অভিযোগে আরএমপি কমিশনার, রংপুরের পুলিশ সুপার প্রত্যাহার
কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার মনিরুজ্জামান ও রংপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) শাহজাহানকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গত ১৬ জুলাই রংপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২তম ব্যাচের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন তিনি।
এ ঘটনায় পরদিন ১৭ জুলাই তাজহাট থানায় মামলা করা হয়। মামলার বাদী ওই থানার উপপরিদর্শক ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ রায়।
ওই সময় মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, 'এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তবে তিনি কীভাবে নিহত হয়েছেন সেটি এখনও আমরা জানতে পারিনি।'
তিনি আরও বলেন, 'বিক্ষোভকারীরা কাছের একটি পুলিশ স্টেশনে আকস্মিক হামলা চালায়। এতে কয়েকজন আহত হয়। তাদের গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়।'
এর আগে আবু সাঈদ নিহতের ঘটনায় দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তারা হলেন, রংপুরের তাজহাট থানার এএসআই আমীর হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র।
গতকাল শনিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আবু সাঈদের বাড়িতে যান এবং তার বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করেন।