কোটাবিরোধী আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আহ্বান জামায়াত আমীরের
জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান সাম্প্রতিক ছাত্র নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে সহিংসতার সময় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'বিগত সরকারের শাসনামলে করা সব রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে যারা গণহত্যা চালিয়েছে তাদের বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।'
সোমবার (১২ আগস্ট) সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে জামায়াতের আমিরের নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন ও বিচার বিভাগসহ বিগত সরকারের অপকর্মের মদদদাতা কর্মকর্তাদের অপসারণ করে তাদের জায়গায় সৎ, দক্ষ ও পেশাদার কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে হবে।
এছাড়া বিগত সরকারের অধীনে কাজ করা দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ ও তাদের বিচারের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে পদোন্নতি বঞ্চিতদের দ্রুত পদোন্নতি দেওয়া এবং সম্মানজনক পদায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। জোরপূর্বক অবসরপ্রাপ্তদের পুনর্বহাল করা উচিত।
শফিকুর রহমান বলেন, 'কোটা আন্দোলনের সমর্থনে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আন্দোলনরত ৫৭ বাংলাদেশিকে সম্মানজনক পুনর্বাসন দিতে হবে। রেমিট্যান্স বৃদ্ধিসহ দেশের অর্থনীতি সচল করার পদক্ষেপ নিতে হবে এবং পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।'
জামায়াত আমীর বলেন, 'ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বাড়িঘর, উপাসনালয় ও সহায়-সম্পদে হামলা চালিয়ে কোনো কুচক্রী মহল যাতে পানি ঘোলাটে করতে না পারে; সেজন্য জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির পাহারাদারের ভূমিকা পালন করে আসছে। যেহেতু বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু করেছে, তাই ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ি-ঘরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এখন সরকারের দায়িত্ব। তাই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির তাদের পাহারা প্রত্যাহার করে নিচ্ছে।'
তিনি আরও বলেন, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির প্রশাসনকে সর্বতোভাবে সহযোগিত করে যাবে।