দীপু মনি, জাহিদ মালেকসহ আরো ১৩ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ ১৩ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থাটি দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে চিঠি দিয়ে এ নির্দেশনা দেয়।
যাদের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে আরও রয়েছেন ডা. দীপু মনির স্বামী তৌফিক নাওয়াজ ও বড় ভাই ড. জে আর ওয়াদুদ টিপু, ডা. তাইমুর নাওয়াজ, জাহিদ মালেকের মেয়ে সিন্থিয়া মালেক, ছেলে রাহাত মালেক, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার ও তার স্ত্রী মাহমুদা আলী সিকদার, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান ও তার স্ত্রী নুসরাত জাহান, বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক সাংসদ শেখ হেলাল উদ্দিন ও তার ছেলে বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সাংসদ শেখ সারহান নাসের তন্ময়।
একইসঙ্গে তাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেনও স্থগিত করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠানো একাধিক চিঠির মাধ্যমে এসব হিসাব জব্দের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনায় কোনো হিসাব স্থগিত করা হলে হিসাব-সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন- হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি কাগজপত্র চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কাছে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, উল্লিখিত ব্যক্তি ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেসব হিসাবের লেনদেন মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ২৩(১) (গ) ধারার আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা ও তাদের নামে কোনো লকার সুবিধা প্রদান করে থাকলে তার ব্যবহার ৩০ দিনের জন্য রহিতকরণের নির্দেশনা দেওয়া হলো।
এর আগে রাজধানীর বারিধারা এলাকা থেকে আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে দীপু মনিকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল।
আজ সন্ধ্যায় দীপু মনিকে আটকের অভিযানে থাকা ডিবির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা একটি গণমাধ্যমকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, 'দীপু মনিকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে।'
ডিবির এক উপ-কমিশনার নাম প্রকাশ না করার শর্তে টিবিএসকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'ঠিক কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে, সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। উনাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হচ্ছে। সেখানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানানো হবে।'
২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের হয়ে জয়লাভের পর ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।
আওয়ামী লীগ সরকারের এরপরের দুই মেয়াদে শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন দীপু মনি। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি পুনর্নির্বাচিত হলে তিনি সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক।