বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ৮১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে: এইচআরএসএস
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ৮১৯ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়ার দাবি করেছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটি (এইচআরএসএস)।
গতকাল (২০ আগস্ট) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি জানিয়েছে, তারা ৬৩০ জনের পরিচয় শনাক্ত করতে পারলেও বাকি ১৮৯ জনের পরিচয় এখনও অজানা।
সংস্থাটির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ৩১১ জন মারা গেছেন এবং ৪ আগস্ট থেকে ১৮ আগস্টের মধ্যে আরও ৫০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতদের পরিবারের সদস্য, প্রত্যক্ষদর্শী, হাসপাতাল এবং জাতীয় দৈনিকগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে এইচআরএসএস।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, গণমাধ্যম, হাসপাতাল এবং অন্যান্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত বিশ্বাসযোগ্য তথ্যের ভিত্তিতে প্রকৃত মৃতের সংখ্যা কমপক্ষে ১ হাজার হতে পারে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, নিহতদের মধ্যে ৮৩ জন (১৮ শতাংশ) ছিল ১৮ বছরের কমবয়সী, ২৪০ জন (৫১ শতাংশ) ছিলেন যুবক, ১২৬ জন (২৭ শতাংশ) ছিলেন মধ্যবয়সী এবং ২১ জন (৪.৫ শতাংশ) ছিলেন বৃদ্ধ।
বিশেষভাবে শনাক্তকৃত নিহতদের ৬৯ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের নিচে ছিল। এছাড়া নিহতদের মধ্যে ১০ জন মহিলা ও শিশু ছিল।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ২৯৩ জন নিহতের পেশা শনাক্ত করা হয়েছে— যার মধ্যে ১৪৪ জন ছাত্র, ৫৭ জন শ্রমিক, ৫১ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ৫ জন সাংবাদিক এবং ৩৫ জন বিভিন্ন পেশার লোক ছিলেন।
নিহতদের ভৌগোলিক অবস্থান উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত ৮১৯ জনের মধ্যে ৫০০ জন ঢাকা বিভাগে, ৮৫ জন চট্টগ্রামে, ৭৬ জন খুলনায়, ৬১ জন রাজশাহীতে, ৩৯ জন ময়মনসিংহে, ২৫ জন রংপুরে, ২০ জন সিলেটে এবং ১৩ জন বরিশালে মারা গেছেন।
পাশাপাশি এইচআরএসএস একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করে অতীতের গুম এবং বিচার বহির্ভূত হত্যার তদন্ত, পুরোনো মিথ্যা মামলাগুলো দ্রুত প্রত্যাহার এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণের যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।