বগুড়ায় শেখ হাসিনা, রেহেনা, জয়, পুতুলসহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে হত্যামামলা
বগুড়ায় শেখ হাসিনাসহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে হত্যামামলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বগুড়ার অতিরিক্ত বিচারিক হাকিমের আদালতে এই মামলার আবেদন করা হয়।
ময়দানহাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহ আলম সুজাকে হত্যার ঘটনায় শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আব্দুল ওহাব বাদী হয়ে আদালতে মামলার আবেদন করেন। আদালত এই আবেদন আমলে নিয়ে শিবগঞ্জ থানাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে নিতে নির্দেশ দেন বলে সংশ্লিষ্ট আদালতের একাধিক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী আইনজীবী আব্দুল ওহাব বলেন, দলের নেতাকে হত্যা করার জন্য আমি আদালতে মামলার আবেদন করেছিলাম। এটি আদালত গ্রহণ করে থানাকে মামলা রুজু করতে বলেছেন।
২০১৮ সালে হওয়া একটি হত্যার জন্য এই মামলা করা হয়েছে। এতে শেখ হাসিনা ছাড়া আরও উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন: সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহেনা, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজিদ আহমেদ, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় তার প্রেস সচিব নাইমুল ইসলাম খান, একাত্তর টেলিভিশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু, সাংবাদিক ফারজানা রুপা, স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি বগুড়ার শিবগঞ্জের ময়দানহাটা ইউনিয়নে মহাবালা স্কুল মাঠে মহাজোটের তৎকলীন এমপি শরিফুল হক জিন্না কর্মীসভা করেন। এটি শেষ করে ফেরার সময় সেদিন সন্ধ্যার দিকে উপজেলার ময়দানহাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহ আলম সুজার উপর হামলা করা হয়। পরের দিন নওগাঁ জেলার রানীনগর থানা এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
শেখ হাসিনা, রেহেনা, জয়, পুতুলসহ কয়েকজন সুজাকে হত্যার পরিকল্পনা, হুকুম ও নির্দেশনা দেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়ছে। অন্য আসামিরা শাহ আলম সুজাকে অপহরণ করে খুন করেন। এই ঘটনায় ওই সময় থানায় মামলা করতে গেলে– তা নেওয়া হয়নি বলে দাবি করা হয়েছে এজাহারে। সে কারণে আজ কোর্টে আবেদন করা হয়, যা আদালত গ্রহণ করেন।
বগুড়ার শিবগঞ্জ থানার ওসি আব্দুর রউফ জানান, এমন মামলার নির্দেশনা সংক্রান্ত কোনো নথি এখনো আমাদের কাছে আসেনি। নথি পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।