গাজী টায়ার্সের পোড়া ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা, উদ্ধার অভিযান সম্ভব নয়
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আগুনে পুড়ে যাওয়া গাজী টায়ার্সের একটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ভেতরে উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বুয়েটের প্রতিনিধিদল।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে গাজী টায়ার্সের পোড়া ভবন পরিদর্শন শেষে বুয়েটের অধ্যাপক রাকিব আহসান এই তথ্য জানান। তবে ভবনের বেইজমেন্টে উদ্ধার অভিযান চালানো যাবে বলে মতামত দেন তিনি। এসময় তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলার গণপূর্ত অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীবকে সঙ্গে নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ল্যাডার মেশিন দিয়ে ছাদের উপরে ও বিভিন্ন ফ্লোর বাহির থেকে পরিদর্শন করেন।
অধ্যাপক রাকিব বলেন, 'ভবনটিতে টানা তিনদিন ধরে থেমে থেমে আগুন জ্বলেছে। ভবনের অনেক দেয়াল এমনকি ফ্লোর ধসে পড়েছে। ছয়, পাঁচ এবং চারতলার ছাদ তিনতলার উপর এসে পড়েছে। ভবনের বীমগুলো বেঁকে গেছে। এই অবস্থায় ভবন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এর ভেতরে প্রবেশ করে উদ্ধার অভিযান চালানো সম্ভব নয়।
তিনি আরও বলেন, প্রচুর দাহ্য পদার্থ ছিল ভবনে। আগুন দীর্ঘসময় থাকায় ভবনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনও ভেতরে প্রচুর তাপ রয়েছে। আমরা ড্রোন ও মইদিয়ে চেক করে ভেতরে আগুনের উপস্থিতি দেখতে পেয়েছি। কিন্তু কোন ডেডবডির সন্ধান পাইনি। তবে এই ভবনের বেইসমেন্টে অভিযান চালানো সম্ভব। সেটা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এই ভবনে দাঁড়িয়ে থাকাটাও ঝুঁকিপূর্ণ। এর ভেঙ্গে ফেলার প্রক্রিয়াও খুব সতর্কতার সাথে পরিচালনা করতে হবে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক আনোয়ারুল হক বলেন, 'আমরা তদন্ত কমিটির সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের ড্রোন ফুটেজে কোন মরদেহের সন্ধান পাইনি। বুয়েট প্রতিনিধি দল সহ এক্সপার্টদের মতামত অনুযায়ী উপরের ফ্লোরে অভিযান চালানো সম্ভব নয়। তবে আমরা ভবনের নিচের বেইসমেন্টে অভিযান চালিয়েছি। সেখানে কোন মরদেহ পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ভবনের গেটে নিখোঁজদের সন্ধান চেয়ে স্বজনদের ভিড় দেখা যায়। প্রাথমিকভাবে ১৭৩ জনের তালিকা তৈরি হলেও তা পরবর্তীতে অস্বীকার করে ফায়ার সার্ভিস। এরপর শিক্ষার্থীদের একটি তালিকায় উঠে আসে ১২১ জনের নাম। তবে গাজী টায়ার্স কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী এই ঘটনায় নিখোঁজ নেই।