হাসিনা-বিরোধী বিক্ষোভে আমিরাতে শাস্তি পাওয়া ৫৭ প্রবাসীর সবাই দেশে ফিরেছেন
গত জুলাইয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের দায়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কারাগারে বন্দি ২৬ বাংলাদেশি প্রবাসীর শেষ দলটি দেশে ফিরেছে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) প্রবাসীদের বহনকারী ইন্ডিগো এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট বিকেল ৩টা ০৫ মিনিটে বাংলাদেশে অবতরণ করে বলে এক সংবাদ বিবৃতিতে জানিয়েছে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম।
সব মিলিয়ে এ মাসের শুরুতে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকারের ক্ষমা পাওয়া ৫৭ প্রবাসীর সবাই দেশে ফিরেছেন।
এর আগে বিভিন্ন ফ্লাইটে ৩১ জন প্রবাসীকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। ১৪ জন প্রবাসীর প্রথম দলটি গত ৭ সেপ্টেম্বর দেশে পৌঁছে।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম অ্যান্ড ইয়ুথ প্ল্যাটফর্মের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান বলেন, 'দেশে ফিরে আসা এ কর্মীদেরকে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্কের মাধ্যমে আমাদের ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম থেকে পরিবহন খরচসহ জরুরি সহায়তা দেওয়া হয়েছে।'
'প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড ও ব্র্যাক এ প্রবাসীদের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পুনরেকত্রীকরণে জন্য কাজ করবে। এ জন্য তাদের চাহিদা অনুযায়ী মনো-সামাজিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা প্রদান করা হবে।'
এদিকে, ব্র্যাক গতকাল এটির প্রত্যাশ্যা-২ প্রকল্পের অধীনে প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিদের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহ-অর্থায়নে একটি বিশেষ ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং পরিষেবা প্রোগ্রাম চালু করেছে।
এর মাধ্যমে দেশে ফিরে আসা প্রবাসীরা চাকরি পেতে বা তাদের নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে সহায়তা পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় গত জুলাই মাসে ৫৭ জন বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হন ও শাস্তি পান।
পরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধে ওই ৫৭ বাংলাদেশির সবাইকে ক্ষমা করার আদেশ দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের কারাদণ্ড প্রত্যাহার করা হয়।