যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস কঠিন সংস্কারগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত বাংলাদেশ, যেকোনো সহায়তা দিতে প্রস্তুত
যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও অর্থ দপ্তরের আন্তর্জাতিক অর্থায়নবিষয়ক সহকারী আন্ডার সেক্রেটারি ব্রেন্ট নেইম্যান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে বাংলাদেশ সংস্কারগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত, যদিও এর কিছু কিছু অত্যন্ত কঠিন, তবে এসব ক্ষেত্রে যেকোনও সহায়তা দিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র।
আজ রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর এডওয়ার্ড এম কেনেডি (ইএমকে) সেন্টারে এক আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি। নেইম্যান জানান, দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্ক আরও মজবুত এবং গভীর করতে চান তারা।
তিনি বলেন, এজন্য আমরা একসাথে কাজ করছি। আজ আমরা আমাদের বাংলাদেশি সমকক্ষ এবং বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সাথে কিছু চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেছি, যেমন ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা, যথাযথভাবে মুদ্রানীতি এবং বাজেট নীতি নির্ধারণ করা।
'আমরা বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে এবং যেকোনোভাবে সহায়তা প্রদানের অপেক্ষায় রয়েছি – এমন সংস্কার বাস্তবায়ন করতে এবং পরিবেশ উন্নত করতে, যা আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে আরও শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করবে'- আরো বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরো কথা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহায়তা সংস্থা (ইউএসএআইডি)-র উপসহকারী প্রশাসক অঞ্জলি কাউর। তিনি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ঐতিহাসিক বিচারে 'গুরুত্বপূর্ণ সময়' বলে উল্লেখ করেন।
অঞ্জলি কাউর বলেন, ইউএসএআইডি পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের সাথে কাজ করছে। বাংলাদেশে একটি নজিরবিহীন বন্যা হয়েছে। 'নতুন কিছু আমরা করতে সক্ষম হয়েছি তা হল, অতীতের তুলনায় নতুন এলাকায় বন্যা সহায়তা প্রদান করা। …কিন্তু এখন আমরা চট্টগ্রামসহ নতুন এলাকায় কাজ করছি যেখানে নজিরবিহীন বন্যা দেখা গেছে। এবং আমরা এই জরুরি সহায়তা দিচ্ছি।'
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের শীর্ষ এই দুই কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে দেওয়া তাঁদের সাক্ষাৎকারের অংশটি এখানে তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: প্রথমেই, ব্রেন্ট, আমি আপনার কাছে জানতে চাই যে, বাংলাদেশে বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের সুযোগ সম্পর্কে। আপনি জানেন, আমরা বর্তমানে সংকটময় মুহূর্তে আছি, তাই আমাদের এখানে আরও বিনিয়োগ প্রয়োজন। এই বিষয়ে, আমি জানতে চাই যে আপনি বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নত করার জন্য কোনও সুযোগ দেখতে পাচ্ছেন, বিশেষত বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং প্রযুক্তির মত খাতগুলিতে?
ব্রেন্ট নেইম্যান: ধন্যবাদ। আপনি জানেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য সম্পর্ক খুবই শক্তিশালী এবং দীর্ঘ সময় ধরে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের রপ্তানির বৃহত্তম আমদানিকারক এবং বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগকারী। সম্পর্কটি শক্তিশালী। এবং অবশ্যই, এই পরিসংখ্যান বেড়েছে, বাংলাদেশে কয়েক দশকের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে।
আমি মনে করি, এই সম্পর্ক আরও মজবুত এবং গভীর করতে হলে বাংলাদেশকে তার ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে হবে। এজন্য আমরা একসাথে কাজ করছি। আজ আমরা বাংলাদেশের সঙ্গী এবং বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সাথে কিছু চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেছি, যেমন ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করা এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা, যথাযথভাবে মুদ্রানীতি এবং বাজেট নীতি নির্ধারণ করা।
আমরা বাংলাদেশের সাথে কাজ করতে এবং যেকোনোভাবে সহায়তা প্রদানের অপেক্ষায় রয়েছি – এমন সংস্কার বাস্তবায়ন করতে এবং পরিবেশ উন্নত করতে, যা আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশের মধ্যে আরও শক্তিশালী অর্থনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করবে।
সেক্রেটারি ইয়েলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট হ্যারিস এবং আমাদের পুরো প্রশাসন জানেন যে এই সংস্কারগুলোর কিছু কিছু বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত কঠিন হবে। কিন্তু, আমরা মনে করি যে বাংলাদেশ এটা করতে প্রস্তুত, এবং এটা বাংলাদেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে। আমরা সহায়তা করতে এবং যেকোনওভাবে সাহায্য করতে আগ্রহী।
প্রশ্নকর্তা: এই ধরনের অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ মন্তব্য জানানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। এখন, অঞ্জলি, আমি আপনার কাছে জানতে চাই (উভয় দেশের) বর্ধিত সহযোগিতা সম্পর্কে। যদি আমি যুক্তরাষ্ট্রের এমন মূল ক্ষেত্রগুলোর কথা বলি যেখানে সহযোগিতা বাড়ার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন– বিশেষত যদি আমি উন্নয়ন, শাসন ও শাসন সংস্কার এবং সক্ষমতা উন্নয়ন উদ্যোগগুলোর বিষয়ে উল্লেখ করি।
অঞ্জলি কাউর: আমরা বাংলাদেশে একটি ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আছি। এবং তাই এই প্রতিনিধিদলের এখানে উপস্থিত থাকা আমাদের সকলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
ইউএসএআইডি পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের সাথে কাজ করছে, এবং এই সম্পর্কের মধ্যে আমরা দেশের বিভিন্ন খাতে কাজ করেছি। আমরা বাংলাদেশের জনগণের উন্নতির জন্য অংশীদারত্বে মনোনিবেশ করেছি। এটাই আমাদের মডেল—সরকার এবং বাংলাদেশের জনগণের সাথে অংশীদারত্বে সবকিছু করা।
আমরা বিভিন্ন ক্ষেত্র জুড়ে কাজ করেছি, যেমন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা। আমরা পরিবেশ সংরক্ষণ, পরিচ্ছন্ন শক্তি, জলবায়ু সহনশীলতার ওপর মনোযোগ দিয়েছি।
আমরা শিক্ষা এবং শিক্ষার উন্নয়নের ওপরও মনোযোগ দিয়েছি। সামগ্রিকভাবে, আমরা স্বাস্থ্য এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শক্তিশালী করার ওপর মনোযোগ দিয়েছি। আমরা দুর্যোগ ঝুঁকি সহায়তার জন্য মানবিক সহায়তা প্রদান করার ওপরও মনোযোগ দিয়েছি। এছাড়া, গণতন্ত্র, অধিকার ও সুশাসন মেনে চলা হচ্ছে কিনা– সেদিকেও আমরা লক্ষ রেখেছি।
আমরা বাংলাদেশে আসার পর থেকে, এখানে অবারিত বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এ দেশে একটি নজিরবিহীন বন্যা হয়েছে। এক্ষেত্রে আমরা নতুন কিছু করতে সক্ষম হয়েছি, তা হলো– অতীতের তুলনায় নতুন এলাকায় বন্যা সহায়তা প্রদান করা। আমি সবসময় বন্যা সহায়তা দেখেছি। কিন্তু, এখন আমরা চট্টগ্রামসহ নতুন এলাকায় কাজ করছি যেখানে নজিরবিহীন বন্যা দেখা গেছে। সেখানে এই জরুরি সহায়তা প্রদান করছি।
এটি আসলে অনুসন্ধান এবং উদ্ধার, বহুবিধ আর্থিক সহায়তা প্রদান, অত্যন্ত ঝুঁকিতে থাকা মানুষের জন্য খাদ্য, পরিষ্কার পানি সরবরাহ করা। তবে পাশাপাশি, আমরা দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করছি। এর মধ্যে বন্যা আক্রান্ত এলাকায় জলবাহিত রোগের প্রতি সতর্কতা নিশ্চিত করার মতো বিষয় আছে। এছাড়া, আমরা জলবায়ু সহনশীলতার উদ্ভাবনগুলো কীভাবে কাজে লাগানো যায়– সে সম্পর্কে ভাবছি।
এটি আমাদের কর্মসূচিগুলোর মধ্যে সংযোগ বাড়ায়…যেমন স্বাস্থ্য সহায়তার পাশাপাশি আমরা পুষ্টি নিশ্চিত করতে পারছি কিনা– সেবিষয়ে সহায়তা করে। একইসঙ্গে আমরা জলবায়ু উপযোগী কৃষি এবং অন্যান্য সহায়তা দিচ্ছি বিভিন্ন খাতগুলোতে। আপনি দেখেছেন যে, আমরা ২০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থের নতুন একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এটি আমাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসেছে, কারণ আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ অন্যান্য উপদেষ্টাদের সাথে বৈদেশিক মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ মন্ত্রণালয় এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পর্যন্ত – এই ক্ষেত্রে সরকারের বর্তমান অগ্রাধিকারে কীভাবে মানিয়ে নেওয়া যায় – তা বোঝার চেষ্টা করেছি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে জানতে চাই যে বাংলাদেশ কীভাবে আরও বেশি আমেরিকান বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণ করতে পারে, এবং নতুন রপ্তানি বাজার খুঁজতে পারে, যাতে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়। এক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে কোন বিশেষ ক্ষেত্র রয়েছে– যেখানে সহযোগিতা করা যেতে পারে?
নেইম্যান: ধন্যবাদ। আমি মনে করি এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, কারণ বাংলাদেশ আসলে তার অর্থনীতির আকারের তুলনায় এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশ এবং প্রতিবেশীদের চেয়ে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পিছিয়ে রয়েছে। এক্ষেত্রে আমি মনে করি, বাংলাদেশ আরও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে।
এটি শুধুমাত্র বিদেশি মূলধনের পাওয়ার বিষয় না। যখন বিদেশি কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে, তখন তাদের ব্যবসায়িক কৌশল, এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও ব্যবসার পরিবেশে প্রভাব ফেলে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সহায়তা করে। বিদেশি কোম্পানিগুলো নতুন উপায়ে তাদের কর্মী প্রশিক্ষণ বা ক্রয় কার্যক্রমের প্রণালী নির্ধারণ করে। বাংলাদেশ যদি আমেরিকান কোম্পানিগুলো যাদের উচ্চ মান এবং মূল্যবোধ রয়েছে, তাদের আনতে পারে, তাহলে কিন্তু ইতিবাচক পরিবর্তনের সহায়ক হতে পারে। এটা বাংলাদেশকে রপ্তানি এবং উৎপাদন বৈচিত্র্যকরণেও সাহায্য করবে।
নতুন মধ্যবর্তী উপকরণ, নতুন বিশেষজ্ঞ, নতুন চিন্তাভাবনার উপায় দিয়ে যা উদ্ভাবন এবং উন্নয়ন ঘটাতে পারে। তাই বাংলাদেশ কীভাবে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়াতে পারে, বিশেষ করে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে– তা আমি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি।
আমরা এই সফরে (বাংলাদেশে ব্যবসারত) আমেরিকান কোম্পানিগুলোর সাথে সাক্ষাৎ করেছি, এবং বুঝতে চেষ্টা করেছি কোন সীমাবদ্ধতাগুলো তাদের আরও বিনিয়োগে বাধা দিচ্ছে। এক্ষেত্রে বেশকিছু সুনির্দিষ্ট পরামর্শ পাওয়া গেছে– যেটা নিয়ে আমরা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একত্রে কাজ করার আশা রাখি, এবং অন্তত কয়েকটির বিষয়ে অগ্রগতির জন্য কাজ করতে চাই।
যেমন বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাদের ইউএসএআইডি বা ট্রেজারির সাথে সহযোগিতা করতে পারে— তা নিয়ে কিছু গবেষণা প্রয়োজন। আমাদের একটি কারিগরি সহায়তা অফিস আছে, যেটি নির্দিষ্ট নীতিসমুহ কীভাবে পরিচালনা করতে হবে– সেবিষয়ে পরামর্শ দিতে পারে। এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করা সহজ করে তোলা যাবে।
(বাংলাদেশে আমেরিকন কোম্পানিগুলো) অন্যান্য যেসব সমস্যার কথা বলেছে, তার মধ্যে অন্যতম বৈদেশিক মুদ্রার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, যাতে তারা খুব সহজে আমদানি করতে পারে, এসব বিষয় যা নিশ্চিত করতে আমরা বাংলাদেশকে সহায়তা দেব, যাতে দেশটি নিজস্ব সংস্কার এজেন্ডার ক্ষেত্রে অগ্রগতি করতে পারে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের বর্তমান তারল্য বা ডলার সংকটের প্রেক্ষাপটে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে কী ধরনের আর্থিক বা প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে পারে– যাতে স্থিতিশীল অর্থনীতি এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি উৎসাহিত করা যায়??
নেইম্যান: এই বিষয়গুলোতে আমার মতামত হলো — বাংলাদেশে আইএমএফ ঋণ কর্মসূচির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের আলোচনায় আইএমএফ এর সাথে শক্তিশালী যোগাযোগ, এবং আইএমএফের কর্মসূচি দ্বারা সমর্থিত সংস্কারের প্রতি দৃঢ় প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছি।
'আমার মতে, এটি একেবারে প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, আপনি যা বলেছেন, অবিলম্বে এধরনের পদক্ষেপ এমন অনেক সমস্যার সমাধানে সহায়ক হবে। এছাড়াও, আমরা অন্যান্য আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সহায়তা আশা করছি। যেমন বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশকে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তারা বাংলাদেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হবে।'
আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এসব প্রচেষ্টার সাথে যুক্ত হয়ে–- ইউএসএআইডি বা ট্রেজারির প্রযুক্তিগত সহায়তার মতো পরামর্শ এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা প্রদান করা হবে। আমরা আশা করি, বাংলাদেশও কিছু পদক্ষেপ নেবে যা– আপনার উল্লেখ করা সমস্যাগুলো সমাধানে উন্নয়ন করতে পারবে। আমরা এই বিষয়ে আশাবাদী এবং সুযোগ প্রত্যাশা করছি।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ যখন অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় কাজ করছে, বিশেষত পাচার হওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধার ও আর্থিকখাতে সুশাসন ফিরিয়ে আনতে, তখন যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে এসব প্রচেষ্টায় কারিগরি ও অংশীদারত্ব সহযোগিতা দিতে পারে?
নেইম্যান: এসব ক্ষেত্রে সক্ষমতা তৈরির জন্য যে দক্ষতা দরকার– তার জন্য সম্ভাব্য বিভিন্ন সরবরাহকারী রয়েছে– যা বাংলাদেশও জানে। যুক্তরাষ্ট্রও সেক্ষেত্রে অংশীদার হতে পারে এবং হতেও চায়।
আমি ট্রেজারি বিভাগে (মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ে) কাজ করি, এবং আমাদের কারিগরি সহায়তা দপ্তর নিয়মিতভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি ও সমর্থন দিয়ে থাকে। যেমন আপনার দেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থাকে শক্তিশালী করতে বা রাজস্ব ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির উন্নতি করতে সহায়তা দিতে পারবে।
এতে করে সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ বা মন্দ ঋণ ব্যবস্থাপনার মতো ব্যাংকখাতের জটিল সমস্যাগুলো মোকাবিলায় সাহায্য পাবে।
বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর সাথে এবিষয়ে যোগাযোগ বাড়াতে আমরা সহযোগিতা দিতে আগ্রহী। আশা করি, আমাদের কারিগরি সহায়তা দপ্তরের বিশেষজ্ঞরা আগামীতে একত্রে কাজ করার একটি উপায় খুঁজেও পাবেন।