আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদহার এখন বাজারভিত্তিক
ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদহারও এখন থেকে বাজারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জানানো হয়েছে, পণ্যভেদে ঋণের সুদহারের ব্যবধানে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ পার্থক্য রাখা যাবে। ছয় মাসে একবার সুদহার পুনর্নির্ধারণ করে বাজারভিত্তিক করা যাবে।
একইসঙ্গে, গ্রাহককে ঋণ দেওয়ার সময়ই লিখিত থাকতে হবে ঋণ পরিবর্তনশীল, নাকি অপরিবর্তনশীল।
রোববার (৬ অক্টোবর) এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে সুদের হার বাড়বে বলে জানিয়েছেন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা অনুসরণের মাধ্যমে ফাইন্যান্স কোম্পানিসমূহের ঋণের সুদহার নির্ধারিত হবে। ঋণের খাতভিত্তিক সুদহার ও আমানতের সুদহার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
এতদিন স্মার্ট (সিক্স মান্থস মুভিং অ্যাভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল) পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার নির্ধারিত হতো।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও জানায়, গ্রাহককে ঋণের প্রস্তাবে সুদহারের ধরন, অর্থাৎ তা অপরিবর্তনশীল বা পরিবর্তনশীল কি-না, তা নির্দিষ্ট করে উল্লেখ থাকতে হবে। পরিবর্তনশীল সুদহারের ক্ষেত্রে ঋণ বিতরণের ছয় মাসের মধ্যে মঞ্জুরিপত্রে নির্ধারিত সুদহার বাড়ানো যাবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক আরও জানিয়েছে, কোনো ঋণ অথবা ঋণের কিস্তি সম্পূর্ণ বা আংশিক মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হলে যে সময়ের জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, ওই কিস্তির ওপর নিয়মিত সুদহারের অতিরিক্ত সর্বোচ্চ দশমিক ৫০ শতাংশ দণ্ড সুদ আরোপ করা যাবে। তবে দণ্ড সুদ আরোপের ক্ষেত্রে গ্রাহক-ভিত্তিতে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন নিতে হবে। ঘোষিত সুদহারের অতিরিক্ত কোনো সেবা মাশুল আদায় করা যাবে না।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংক বা সরকার গঠিত প্রণোদনা প্যাকেজ/বিশেষ তহবিল আওতায় প্রদত্ত ঋণের সুদহার নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট তহবিলের জন্য প্রণীত নীতিমালা প্রযোজ্য হবে।