পরিবেশের জন্য কোভিড-১৯-এর তাৎপর্য
কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে। এই বৈশ্বিক মহামারি স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক বিপর্যয় ডেকে আনার পাশাপাশি মানুষের জীবন ও অন্যান্য খাতে (যেমন পরিবেশ ও জলবায়ু) এক সুদূরপ্রসারী তাৎপর্য বয়ে এনেছে।
একটা বার্তা পরিষ্কার, এই মহামারি মোকাবেলায় সরকারের সাড়া ও উদ্ধার কার্যক্রমে পরিবেশের (অর্থাৎ, সমষ্টিগতভাবে প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম পারিপার্শ্বিক উপাদানসমূহ) গুরুত্ব সঠিকভাবে বিবেচিত হওয়া উচিত। বৃহৎ অর্থে, কোভিড-১৯ প্রণোদনা ব্যবহারে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনায় টেকসই উন্নয়ন প্রাধান্য পাওয়া বাঞ্ছনীয়।
প্রাথমিক বিশ্লেষণ বলছে, কোভিড-১৯ সংকট দুটো কারণে হয়েছে: বিজ্ঞানীরা বলছেন, প্রথমত, এই স্বাস্থ্য সংকট মানুষ ও বন্যপ্রাণীর মধ্যে প্রচ্ছন্নভাবে (potentially) ক্ষতিকর মিথষ্ক্রিয়ার ফল। মাত্রাতিরিক্ত হারে বন্য সম্পদ (গাছ ও প্রাণী) কর্তন ও বিক্রি অনেক প্রজাতির অস্তিত্বের জন্য ধারাবাহিকভাবে হুমকি স্বরূপ। এই ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ভাইরাসের মাধ্যমে মনুষ্য সমাজকে বিরাট ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। গবেষণা বলছে, বন্যপ্রাণী শোষণ প্রাণী থেকে মানুষে ভাইরাসের সংক্রমণ ভবিষ্যতে আরও বাড়তে পারে।
দ্বিতীয় কারণটা ঘটেছে সর্বত্র। মূলত মানুষ ও পণ্যের দ্রুততর সীমাহীন চলন এর জন্য দায়ী। এটি আধুনিক বিশ্বায়নের একটি বৈশিষ্ট্য। প্রথম কারণটি যেখানে প্রাণী থেকে মানুষে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ, দ্বিতীয়টি সেখানে প্রধানত মানুষের মাধ্যমে ভাইরাসের দ্রুত ছড়ানোর ফলে মহামারির সৃষ্টি। বন্যপ্রাণীর বাজারজাতকরণের হার ও পৃথিবীজুড়ে মানুষের দ্রুত চলাচলের মাত্রা- উভয়েই প্রকৃতির ওপর মানুষের অপরিমেয় প্রভাব এবং প্রচ্ছন্নভাবে এর উল্টোটাও তুলে ধরেছে।
একাধিক প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে পরিবেশের জন্য কোভিড-১৯-এর স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ-মেয়াদী চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে এর জন্য সম্ভাবনাময় সমাধান দিয়েছে। স্বল্প-মেয়াদী চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে রয়েছে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বায়ু দূষণের প্রভাব প্রশমিতকরণ এবং জীবনযাত্রার টেকসই পরিবর্তন ও অন্যান্য। এই চ্যালেঞ্জগুলোর আশু ব্যবস্থা নেওয়া অত্যাবশ্যক।
মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা প্রকট। চিকিৎসা কেন্দ্রের বর্জ্য পরিত্যাগকরণে বাংলাদেশ মেডিকেল ওয়াস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড প্রসেসিং রুলস ২০০৮ ব্যবহার হয়। কিন্তু এ দেশে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ও প্রক্রিজাতকরণে আইন (legislation) নেই। রুলস ৮ অনুসারে মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ও প্রক্রিজাতকরণে ৭টি বিভাগে ডাম্পিং জোন স্থাপনের নির্দেশ থাকলেও শুধু ঢাকায় এই জোন রয়েছে, যা ক্রমবর্ধমান হাসপাতালগুলোর জন্য খুবই অপর্যাপ্ত।
কোভিড-১৯ সংকটের প্রাক্কালে সুনির্দিষ্টভাবে কতগুলো মেডিকেল সাপ্লাইয়ের, যেমন: মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভসের ব্যপক ব্যবহারের কারণে দ্রুতগতিতে মেডিকেল বর্জ্য বেড়েছে। এসব আবর্জনার দ্রুত ব্যবস্থাপনা ও প্রক্রিজাত করা উচিত। মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাবলুএইচও) এবং বাসেল কনভেনশনের মূলনীতি (সঠিকভাবে শনাক্ত, পৃথক, সংগ্রহ, পরিবহন, জীবাণুমুক্ত ও পরিত্যাগ করা এবং ব্যক্তিগত সুরক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রদান) অনুসরণ করা যেতে পারে।
আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অন এনার্জি অ্যান্ড ক্লিনএয়ারের (সিআরইএ) দেখিয়েছে, বায়ুদূষণ ও কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে শক্তিশালী যোগসূত্র রয়েছে। বায়ুদূষণের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই হাজার হাজার মানুষ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ফুসফুসের ক্যানসারসহ নানা ধরনের শারীরিক অক্ষমতায় ভুগছে। সেজন্যে এই সমস্যার টেকসই সমাধান নির্ণয় ও বাস্তবায়ন করা জরুরি। উদাহারনসরূপ বলা যায়, বাংলাদেশের কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর দূষণ প্রতিরোধী ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া অত্যাবশ্যক।
'এয়ার পলুসান ইন এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক: সায়েন্স-বেইসড সল্যুশন' রিপোর্ট ২৫টি ব্যবস্থা বদলে দিয়েছে, যা বাস্তবায়ন করলে শুধু পরিষ্কার বায়ু নিশ্চিতকরণে সাহায্য করবে না; বরং ধনাত্মকভাবে স্বাস্থ্য, জলবায়ু, আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখবে। এই ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে ক্লিন কুকিং, শিল্পকারখানার নির্গমন নিয়ন্ত্রণ, পাওয়ার উৎপাদনে রিনিউব্যাল উৎসের ব্যবহার এবং অন্যান্য। এইসব ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে গ্রাউন্ড-লেবেলে ওজনের মাত্রা কমানোর ফলে ভুট্টা, ধান, সয়াবিন ও গমের ক্ষতি ৪৫ শতাংশ কমানো যাবে।
লকডাউনের কারণে বায়ু দূষণের পাশাপাশি, পানি ও শব্দ দূষণও বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে (যেমন, ইতালি) অনেক কমেছে। কয়েক মাস ধরে চলমান লকডাউনের জন্য বিভাগীয় শহরে শব্দ দূষণ লক্ষণীয় হারে কমেছে। এইসব দূষণ কমার ফলে প্রকৃতির নান্দনিক রূপ সবার নজর কেড়েছে।
লকডাউন ঘোষণা থেকেই সরকার বাসা থেকে কাজ, টেলিওয়ার্কিং বা টেলিকমিউনিকেটিংকে অনুপ্রাণিত করে আসছে। এতে কাজের ধরন এবং জীবনশৈলির মজবুত পরির্বতন হয়েছে। ফলে গ্রিন হাউস গ্যাস নিঃসরণ অনেক কমে গেছে। এক হিসাব মতে, দেশব্যাপী লকডাউনে অধিকাংশ টান্সপোর্ট, পাওয়ার স্টেশন ও শিল্পকারখানা বন্ধ থাকার কারণে প্রতিদিন ১ লাখ ৮৩ হাজার টন কার্বন নিঃসরণ কমেছে।
সামাজিক দূরত্ব রক্ষার্থে, প্রযুক্তি নির্ভর অফিস, আদালত, কেনাকাটা, বিক্রি, সরকার ব্যবস্থা, শিক্ষা, কূটনীতি সম্পন্ন হচ্ছে। করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য জীবনযাপনের এই পরিবর্তিত পরিস্থিতি ও নতুন অভ্যাসগুলোর গ্রহণকে বলা হচ্ছে 'নিউ নরমাল'। এই নিউ নরমাল কীভাবে সাফল্যের সঙ্গে আয়ত্ব করা যায়, তা বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন।
তবে লকডাউন পুরোপুরি উঠে গেলে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা অনেক বেড়ে যাবে, যেমন: ২০০৮ সালের গ্লোবাল ফাইনান্সিয়াল ক্রাইসিসের অভিজ্ঞতা সে পরিসংখ্যানই দেয়। ওই সংকটের পরে অর্থনৈতিক বৃদ্ধি খুবই প্রাধান্য পেয়েছিল। এতে শিল্পকারখানায় অতিরিক্ত হারে কয়লা, পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানির উৎস পোড়ানোর ফলে বিশ্বে ৫ শতাংশ কার্বন নিঃসরণ বেড়ে গিয়েছিল। সুতরাং, করোনা প্রণোদনা যেন জলবায়ু-সামঞ্জস্যপূর্ণ উন্নয়নকে সর্মথন করে, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া বাঞ্ছনীয়।
করোনা মহামারির কারণে 'জলবায়ু কূটনীতি' মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত। জলাবায়ু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই মহামারি জন্য জলাবায়ু আন্দোলনের যে মোমেন্টাম যা অনেক প্রোগ্রামের [যেমন: ক্লাইমেট সামিট এবং কনফারেন্স অব দ্য পার্টিস (কপ-২৫)] মাধ্যমে গঠিত হয়েছিল, সেটাতে ছেদ পড়েছে। কপ-২৬-এর অনুষ্ঠান সময়মতো করতে না পারা বিশ্ব জলবায়ু কূটনীতির একটি উল্লেখ্যজনক ক্ষতি।
প্লানেটারি ইমার্জেন্সির এ যুগে, যেসব দৈনন্দিন ক্রিয়াকলাপ, রীতি ও নীতি কার্বন নিঃসরণে সাহায্য করে, তাদেরকে গবেষকরা 'টেকসই অভ্যাস' বলছেন এবং জোর দিয়েছেন কৌশল ও কর্মপন্থা উদ্ভাবনের ওপর, যাতে মানুষের আচরণের স্থায়ী পরিবর্তন করা সম্ভব হয়। এ বিষয়ে '১.৫ ডিগ্রি লাইভস্টাইলস- র্টাগেটস অ্যান্ড অপসন্স ফর রিডুসিং লাইভস্টাইল কার্বন ফুটপ্রিন্টস' রিপোর্ট অনুসরণ, অনুকরণ এবং বাস্তবায়নযোগ্য বিশেষ তথ্য ও উপাত্ত দিতে পারে।
মধ্য-মেয়াদী ব্যবস্থাগুলোর মধ্যে কোভিড-১৯ সংকট-পরবর্তী গ্রিন রিকোভারির কর্ম-কৌশল নির্ণয় করা এবং তা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। গ্রিন রিকোভারি বলতে সেই অর্থনৈতিক উদ্ধারকে বোঝায়, যা জলবায়ুর কার্যকলাপ এবং টেকসই উন্নয়নকে অঙ্গীভূত করে।
১১তম পিটার্সবার্গ জলবায়ু সংলাপে, জাতিসংজ্ঞের মহাসচিব এবং ইউএনএফসিসিসি-কপ (UNFCCC-COP)-এর প্রেসিডেন্ট গ্রিন রিকোভারির ওপর জোর দিয়েছেন। প্রায়োগিকভাবে, এই রিকোভারির প্রক্রিয়া দীর্ঘ প্রতীক্ষিত টেকসই সমাজ গঠনে রূপান্তরকরণে একটি বড় সুযোগ।
বর্তমানে সরকার মহামারির বিপর্যয় থেকে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সূমহকে উদ্ধারকল্পে অর্থনৈতিক ভর্তুকি ও প্রণোদনা দিচ্ছেন। গতানুগতিক প্রণোদনা (যেমন: জীবাশ্ম জ্বালানি তীব্রভাবে ব্যবহার করে- এমন শিল্পকারখানাকে সহায়তা প্রদান) স্বল্প মেয়াদী অর্থনৈতিক উদ্ধারকে গুরুত্ব দেয়। কোভিড-১৯-এর প্রণোদনা অবশ্যই রেসিলিয়েন্ট এবং ডিকার্বনাইসড সমাজ গঠনে অবদান রাখতে হবে।
আমাদের আর্থসামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে, এই সমাজ গঠনে সরকার ইউরোপিয়ান গ্রিন ডিলকে (European Green Deal) অভিযোজন করতে পারে। যেমন: দক্ষিণ কোরিয়া তাদের নিজস্ব অভিযোজিত গ্রিন ডিল প্রয়োগ করছে, যা ২০৫০ সালের মধ্যে তাদেরকে কার্বন নিউট্রালিটি অর্জনে সার্মথ্য জোগাবে।
পরিবেশের তাৎপর্য বিবেচনা করে, কোভিড-১৯ মোকাবেলার মাধ্যমে রেসিলিয়েন্ট ও টেকসই উন্নয়ন ত্বরান্বিতকরণে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা দরকার। এ ক্ষেত্রে সবার আগে করোনার মূল কারণ অনুসন্ধান করা দরকার। গবেষণা দেখাচ্ছে, জলবায়ু পরিবর্তন ও ইকোসিস্টেম এবং জীব বৈচিত্র্যের ব্যাপক ক্ষতি কোভিড-১৯ সংক্রমণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই উন্নয়নে টেকসই এবং সমন্বিত মডেল গ্রহণ ছাড়া গত্যন্তর নেই।
এই মডেলের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো- (ক) উন্নয়ন হবে প্রকৃতির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, (খ) রিনিউবল এনার্জিকে প্রাধান্য দিয়ে ডিকার্বনাইজেসনকে উৎসাহিতকরণ এবং (গ) প্রকৃতিভিত্তিক জলবায়ুর অভিযোজন ও প্রশমিতকরণ। টেকসই উন্নয়ন এজেন্ডা ২০৩০-এর সঠিক বাস্তবায়নই হতে পারে এই মডেলের গুরুত্বপূর্ণ পথ প্রদর্শক।
শহর অর্থনৈতিক উন্নয়নের যেমন অন্যতম কেন্দ্রস্থল, তেমনি দূষণেরও প্রধান উৎস। শহরের মানুষই করোনায় বেশি আক্রান্ত। তাই শহরের পরিবেশের উন্নয়নে নিয়ে দীর্ঘ মেয়াদী এবং টেকসই পরিকল্পনা [যেমন: নিম্ন নির্গমন ও অল্প খরচ হয় এমন- পরিবহন ব্যবস্থা (বাইসাইকেল) গড়ে তোলা] করা জরুরি।
জলবায়ু পরিবর্তন পরোক্ষভাবে সংক্রামক রোগ, যেমন করোনাভাইরাস, বিস্তারে ভূমিকা রাখে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ দেখিয়েছে, আমাদের সমাজ, সরকার ব্যবস্থা ও অন্যান্য সিস্টেম (প্রাইভেট হসপিটাল) কতটা দুর্বল। তাই ক্লাইমেট ভালনারেবল দেশ হিসাবে কোভিড-১৯-এর শিক্ষা নিয়ে জলবায়ুর অভিযোজন পরিকল্পনা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে; যেমন: কমিউনিটি রেসিলিয়েন্স বাড়ানো, জলবায়ুগত ক্ষমতায়ন শক্তিশালী করা এবং স্থানীয় থেকে জাতীয় পর্যায় শাসনপদ্ধতির উন্নতিকরণ।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের সঙ্গে পরিবেশের সম্পর্কটা নিয়ে আরও গবেষণা হওয়া দরকার। তবে বায়োফিজিক্যাল (যেমন জীববৈচিত্র্য) থ্রেসহোল্ড অতিক্রম করলে পরিণতি যে ভয়াবহ, তা কোভিড-১৯ আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। সেজন্যই, উন্নয়ন কার্যক্রম পরিবেশ-বান্ধব না হলে আগামী দিনে আরও দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির দিকে যাব।
সবশেষে বলা যায়, করোনার জন্য কোটি কোটি মানুষ দৈনন্দিন আচার-আচরণ ও ব্যবহার পরিবর্তন করেছে, জলবায়ু সংকট উত্তরণের জন্যও এটা সম্ভব। কোভিড-১৯-এর তাৎপর্য তাই জলবায়ু পরিবর্তন রক্ষার্থে একটি বড় সুযোগ।
- লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, কৃষি সম্প্রসারণ ও ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগ, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা