প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক আর ইরান-চীন চুক্তি,ভারতের নতুন মাথাব্যথা
গত সপ্তাহে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ইরান ও চীনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এক কৌশলগত অংশীদারিত্বের চুক্তি সম্পর্কে জানিয়েছিল মার্কিন গণমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।
প্রতিবেদনটি জানায়, এ চুক্তির ফলে ভারতের পররাষ্ট্র নীতি মধ্য এশিয়ায় প্রভাব বিস্তারে বিপুল প্রতিকূলতার মধ্যে পড়বে। চুক্তিটি তারপরই স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার প্রথম ধাক্কাটা ভারত খেয়েছে ভূ-কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ চবাহার বন্দরের রেলওয়ে প্রকল্প থেকে বাদ পড়ার মধ্য দিয়ে। আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যিক যোগাযোগ প্রতিষ্ঠায় ভারতের জন্য অতি-গুরুত্বপূর্ণ ছিল এ প্রকল্প। কিন্তু, শুধু বাণিজ্যিকভাবেই নয়, চীন-ইরান চুক্তির বিস্তৃত প্রভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছে ভারত।
চীন-ইরান সম্পর্ক:
চীন-ইরান অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের যে পরিকল্পনা সম্প্রতি স্বাক্ষরিত চুক্তিটিতে রয়েছে, গত বছরই তার সম্পর্কে প্রথম জানা যায় আন্তর্জাতিক জ্বালানি বাজার বিষয়ক গণমাধ্যমগুলোর সূত্রে। এর আওতায় আগামী ২৫ বছরে ইরানে ৪০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে চীন। এরমধ্যে, ২৮ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ হবে দেশটির তেল ও গ্যাস খাতে, বাকি ১২ হাজার কোটি ডলার ইরানি অর্থনীতির অন্যান্য মূল খাতের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।
বিনিময়ে ইরানের জ্বালানিখাতে ৩০ শতাংশ ছাড়সহ দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির সুবিধা পাবে চীন। এমনকি দেশটির সকল জ্বালানি প্রকল্পে প্রথম অংশীদার হওয়ার হতে পারবে চীনা কোম্পানি। যে কোনো মানদণ্ডে অবিশ্বাস্য হলেও, এমন শর্তের আওতায় চুক্তিটি হয়েছে।
তবে এই চুক্তির পেছনে আছে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ক্রমবর্ধমান আস্থার বিষয়টি। বিগত এক দশক ধরেই ইরান ও চীন ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে উদ্যোগী হয়েছে। ইউরোপ, আফ্রিকা এবং এশিয়ার মধ্যে বাণিজ্যপথ সংযোগ স্থাপনে চীনের বহুমাত্রিক যোগাযোগ প্রকল্প- বেল্ট অ্যান্ড রোডের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে ইরান। চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডরের কার্যকারিতা নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠছে, ঠিক তখনই বিকল্প হিসেবে ইরানের গুরুত্ব বেড়েছে বেইজিংয়ের কাছে।
তার সঙ্গে আছে আবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নৌপথে সংঘর্ষের আশঙ্কা। এমন সংঘর্ষের সময় মহাশক্তিধর মার্কিন নৌবাহিনী চীনা বাণিজ্যকে এশিয়ার সমুদ্রপথে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে। অন্যদিকে, ইরান কাছে থাকলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে নিরাপদে জ্বালানি আমদানি এবং মধ্য এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য অব্যাহত রাখার প্রয়াস পাবে চীন।
ভারত এখনও চবাহার বন্দরের পরিচালনার দায়িত্বে আছে বটে। কিন্তু চীন যদি চায় তাহলে সে এখন ইরানের কাছ থেকে এ বন্দরের পরিচালনার দায়িত্বভার নিয়ে নিতে পারবে। ফলে, পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশে চীনের তৈরি গোয়াদার বন্দরের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে চবাহার।
তবে ভারতের জন্য সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো; চীন-ইরান চুক্তির সম্ভাব্য জাতীয় নিরাপত্তা এবং সামরিক সহায়তার গোপন বিষয়াদি। এ ধরনের চুক্তির শর্ত দৃঢ় অঙ্গীকারের চাইতে সমর সম্পর্ক জোরদারের আশ্বাসের উপর বেশি নির্ভরশীল হলেও; সাম্প্রতিক সময়ে প্রকৃত অর্থেই দুই দেশের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য এবং সমরাস্ত্র প্রযুক্তি বিনিময়ের ক্ষেত্রে বিপুল অগ্রগতি লক্ষ্য করা গেছে। এ অবস্থায় পারস্য উপসাগরে সরু প্রবেশপথ হরমুজ প্রণালিতে নির্মাণের জন্য প্রস্তাবিত ইরানের দুইটি বন্দরে চীনা নৌবাহিনীর উপস্থিতি দেখা যেতে পারে। অন্যান্য উপসাগরীয় দেশ থেকে আমদানি করা জ্বালানি তেলবাহী ট্যাংকার জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দোহাই দিয়েই, নিজ অবস্থান সুসংহত করতে উদ্যমী হয়ে উঠতে পারে চীনা নৌবাহিনী-পিএলএএন।
চীনকে এত সুবিধা দেওয়ার সুযোগ রাখায়, ইরানের সকলেই যে চীনের সঙ্গে চুক্তিটি মেনে নিয়েছেন তা নয়। অনেক কট্টর জাতীয়তাবাদি একে চীনের কাছে দেশবিক্রির চুক্তি বলে সমালোচনা করেছেন।
ইউরেশিয়ার উত্থান:
তারপরও, ইরান-চীন সম্পর্ক ভারতের জন্য কেন খুব বেশি গুরুত্বের! সে প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধান জরুরি। এর পেছনে উত্তর হচ্ছে; ইউরেশিয়া অঞ্চলের ভূ-রাজনৈতিক পটভূমিতে অবিশ্বাস্য উত্থান। ভারতের পররাষ্ট্রনীতির ব্যর্থতা আমলে নিলে দেখা যায়, ইউরেশিয়ার উথান হচ্ছে; রাশিয়া-চীন সম্পর্কের মজবুত ভিত্তির উপর। চীনের সঙ্গে ইরানের ঘনিষ্ঠতা এ প্রবণতাকে আরও শক্তিশালী করবে।
গত এক দশকে রাশিয়া ও চীন একে-অপরের সহযোগিতায় সম্পূর্ণ পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে সামরিক-বেসামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে। রাশিয়ার জন্য সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ ছিল এক অগ্নি -পরীক্ষা। চীন সে সময় রাশিয়াকে ঘনিষ্ঠ সমর্থন দিয়েছে। এমনকি মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র সৌদি এবং ইসরায়েলের সঙ্গেও সম্পর্ক মজবুত করেছে মস্কো-বেইজিং জুটি।
রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক আগে থেকেই মজবুত ছিল। সিরিয়ায় একযোগে একলক্ষ্যে যুদ্ধে অংশ নেওয়ার মধ্য দিয়ে সেই সম্পর্ক নতুন উচ্চতা লাভ করে।
ইউরেশিয়া অঞ্চলে রাশিয়াই ভারতের ঘনিষ্ঠতম ও পরীক্ষিত মিত্র। দুই দেশের মাঝে দীর্ঘদিনের সামরিক এবং জ্বালানি ব্যবসায়ের ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু এই সম্পর্ক এখন রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র বিরোধিতার জেরে প্রশ্নবিদ্ধ। রাশিয়া থেকে জ্বালানি বা অস্ত্র ক্রয় অব্যাহত রাখলে; ২০১৭ সালে প্রণীত কাটসা আইনের আওতায় নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে ওয়াশিংটন। আগামীদিনে, রাশিয়ার সঙ্গে বড় অংকের সামরিক চুক্তিতে তাই এটি বড় বাঁধা হিসেবে কাজ করবে, ভারতের জন্য। অন্যদিকে, চীন এক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা লাভ করবে রাশিয়ার জ্বালানি ক্রয়ের মাধ্যমে। মস্কো আরও বেশি বেইজিং নির্ভর হতে বাধ্য হবে।
ইউরেশিয়া অঞ্চলে চীনের নেতৃত্বাধীন জোট সাংহাই কো-অপারেশন কাউন্সিল- এসসিও। এই গ্রুপের সদস্যপদ ভারতেরও আছে। এ জোটের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য দেশ হলো; চীন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং পাকিস্তান। বর্তমানে এ জোটের পরিধি আরও বেড়েছে। এসসিও'র মাধ্যমে ইউরেশিয়া অঞ্চলে কৌশলগত সহায়তার নতুন ক্ষেত্র খুঁজে পেয়েছে রাশিয়া ও চীন। সেই তুলনায় এ অঞ্চলে নয়াদিল্লি তেমন কোনো কূটনৈতিক পুঁজি লগ্নি করতে পারেনি।
উল্টো ভারত যোগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে চীন বিরোধী দেশের জোট- কোয়াডে। ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত এ জোট প্রতিষ্ঠা করে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনা আধিপত্য ঠেকানোর লক্ষ্যে। এই মহাপরিকল্পনা নিয়ে সাগরে চীনকে ঠেকাতে অভিযানগামী ভারত, আসলে পিঠ ঠেকিয়ে বসে আছে চীনের প্রভাব বলয় বেষ্টিত হয়ে।
লাদাখে সম্প্রতি চীন-ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে যে সংঘর্ষ হয়, তা কোয়াড জোটের কার্যকারিতা বেশ ভালোই ফুটিয়ে তোলে। ওই সময় দুই পক্ষের মাঝে সংঘাতের অবসান শান্তিপূর্ণ উপায়ে হোক,এমন বিবৃতি দেয় ওয়াশিংটন। যা ভারতকে পর্দার আড়ালে বিপুল হতাশায় ফেলে। শান্তনা পুরস্কার হিসেবে, অবশ্য দক্ষিণ চীন সাগরে দুই দুটি বিমানবাহী রণতরী পাঠায় ওয়াশিংটন। কিন্তু, তা ছিল শান্তনা পুরস্কার মাত্র।
তবে এটাও ঠিক, আগামীতে ভারতকে চীনের বিরুদ্ধে সরাসরি সংঘাতে সহায়তা করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। চীনের সঙ্গে সম্পর্ক ক্রমাবনতির কারণে কোয়াড জোটও ধীরে ধীরে এক সামরিক জোটে রূপ নিচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে, নিকট ভবিষ্যতে উত্তর বা দক্ষিণ চীন সাগরের কোনো ঘটনায় ভারতকেও জড়িয়ে পড়তে হতে পারে। চীন ইচ্ছে করেই এমন চাল দিতে দেবে, যাতে পা দিয়ে ভারতীয় নৌবাহিনী অপদস্থ হতে হবে।
তেহরানের কৌশলগত অবস্থান পরিবর্তন:
১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবে পশ্চিমা সমর্থিত রাজতন্ত্রকে উৎখাতের পর, ইরানিরা স্লোগান দিয়েছিল; 'না শারক, না ঘার্ব' বলে। যার অর্থ দাঁড়ায়; না পূর্বের না পশ্চিমের (কারো দাস নয় ইরান)। ঠিক এমনই আওয়াজ উঠেছিল নেহেরুর ভারতীয় জাতীয়তাবাদি সংস্করণের আওতায়। বিশ্বের প্রধান প্রধান শক্তির সঙ্গে একক জোটবন্ধন দীর্ঘদিন এড়িয়ে চলছে ইরান। বিল্পব পরবর্তী ইরানের প্রধান শত্রুরা ছিল দেশটির পশ্চিমে এবং দক্ষিণে। আর এর প্রভাবের আওতা ছিল প্রতিবেশী আফগানিস্তান পর্যন্ত।
এই অবস্থান পাল্টে গেছে সিরিয়ার যুদ্ধে রাশিয়ার সঙ্গে জোটগঠনের মধ্য দিয়ে। সিরিয়ার পশ্চিমা সমর্থিত সরকার বিরোধী শক্তিগুলোর বিজয়যাত্রা রুখে দিয়ে যুদ্ধের মোড় সম্পূর্ণ ঘুরিয়ে দেয় মস্কো-তেহরান জোট। বৈশ্বিক রাজনীতির বিবেচনায়, সিরিয়া এক ছোট যুদ্ধক্ষেত্র হলেও; সম্প্রতি আরও বড় কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে তেহরান। ওমান সাগরে চীন, রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ মহড়ায় অংশ নিয়েছে ইরানি নৌবহর। আবার, দীর্ঘদিনের উপেক্ষিত প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গেও সম্পোর্কন্নয়নের প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা গেছে।
এসব পদক্ষেপ ইরানের প্রভাব বলয় দিন দিন বিস্তারের ইঙ্গিত দেয়। দেশটি যে জোট নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতির খোলস পুরোপুরি ঝেড়ে ফেলতে প্রস্তুত তার বার্তা এটি। এসব কিছুই, তেহরান করছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের হুমকি মোকাবিলায়। আর ভারত উভয় দেশের ঘনিষ্ঠ মিত্র। এ অবস্থায় মধ্য এশিয়ার রাজনীতিতে ভারত সম্ভবত এক দীর্ঘস্মৃতির শত্রু তৈরি করেছে, ইরান বিরোধীদের সঙ্গে সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে।
ভারতের কৌশলগত বাঁধা:
ইরানের কথা বাদ দিলেও, দক্ষিণ এশিয়ায় নিজের ঘরের কাছেই স্বস্তিতে নেই ভারত। একের পর এক প্রতিবেশী বৈরি আচরণের কারণে নয়াদিল্লির মূল উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দিহান হয়ে পড়েছে। পাল্টা সম্পর্ক জোরদার করছে বেইজিংয়ের সঙ্গে। আফগানিস্তানে কার্যত মার্কিন জোটবাহিনীর পরাজয় ঘটেছে, তাদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরই সম্ভবত দেশটির ক্ষমতায় আসতে চলেছে তালেবান বিদ্রোহীরা।
পশ্চিমা সমর্থিত আফগান সরকারকে সামরিক ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া, কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার এমন অসংখ্য কারণে তালেবান ক্ষুদ্ধ ভারতের উপর। ২০১৫ সালে ভারতের আরোপিত অবরোধের পর থেকেই অচেনা হয়েছে নেপালও। চীনের সঙ্গেই দহরম-মহরম চলে কাঠমান্ডুর। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের শীতল পরিণতির সুযোগ নিয়েও, সেখানে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে চাইছে বেইজিং।
মিয়ানমারও চীনের সঙ্গে বিরোধ মিটিয়ে 'বেল্ট অ্যান্ড রোড' প্রকল্পে যোগদানের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হওয়ার পরও চীনের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠতা বাড়িয়ে চলেছে থাইল্যান্ড। শ্রীলংকাও আর চীন এবং ভারতের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে চলতে আগ্রহী নয়।
তাই বলা যায় দুর্বল অর্থনীতি, পররাষ্ট্রনীতির একাধিক ভুল পদক্ষেপ এবং বৈরি চীনের ভয় নিয়েই এখন ভারতকে সন্ত্রস্ত থাকতে হবে। ভারতের পররাষ্ট্রনীতির মহাপরিকল্পনা বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষিতে হয়ে পড়েছে একমুখী। এ অবস্থায় প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিরোধ অবসান ঘটিয়ে বহুমাত্রিক জোটে ভারসাম্য রক্ষা করাটাই হতে পারে ভারতের জন্য শ্রেষ্ঠ উপায়।
- লেখক পরিচিতি: টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি এবং শক্তি প্রতিস্থাপন কেন্দ্রের গবেষক ও পরামর্শক
- অনুবাদ: নূর মাজিদ
- সূত্র: স্ক্রল ডটইন