দলছুট হাতি শাবকটিকে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত
কাদায় আটকে পড়ে দলছুট হয়ে চট্টগ্রামের বাঁশখালী এলাকার লোকালয়ে চলে আসা হাতি শাবকটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন বিভাগ।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, কৃত্রিমভাবে হাতির শাবক পরিচর্যা করা বেশ কঠিন। আমাদের লক্ষ্য হাতি শাবকটিকে প্রকৃতিতে ফিরিয়ে দেওয়া। চিকিৎসক ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে শাবকটিকে যে কোনো সময় বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।
স্থানীরা জানান, বাঁশখালী পৌরসভার পাইরাং বনে সোমবার (১৬ অক্টোবর) হাতি শাবকটি কাদায় আটকে পড়ার পর তাকে উদ্ধারে ব্যর্থ স্থান ত্যাগ করে হাতির পাল। স্থানীয়রা শাবকটি কাদায় আটক থাকতে দেখে তাকে উদ্ধার করে বনে ছেড়ে দিয়ে আসে। তবে মা সহ হাতির পালটিকে খুঁজে না পেয়ে শাবকটি পাশের লোকালয়ে চলে আসে। সেবা শুশ্রুষার পর হাতি শাবকটি এখন অনেকটাই সুস্থ।
মাত্র ১৫–২০ দিন বয়সের শাবকটিকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জলদী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ।
শাবকটি কিছুটা দুর্বল ও অসুস্থ অবস্থায় ছিল। খাবার ও চিকিৎসা দেওয়ার পর হাতি শাবকটিকে বনে ছেড়ে দিয়ে আসা হয়। তবে এটি আবারও লোকালয়ে ফিরে আসে, বলেন তিনি।
এরপর বুধবার রাতে আবার বনে ছেড়ে দেয়া হয় হাতি শাবকটিকে। পরে বৃহস্পতিবার সকালে গিয়ে দেখা যায় শাবকটি সেখানেই আছে। বাচ্চা হাতিটিকে প্রতিদিন ৮–১০ লিটার দুধ খাওয়াতে হচ্ছে।