সোনিয়া গান্ধীর আত্মীয়ের জমি দখল করেছিলেন আতিক আহমেদ, দাবি প্রতিবেদনে
মাফিয়া থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা আতিক আহমেদের হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিগত কয়েকদিন ধরে তোলপাড় হচ্ছে ভারতীয় রাজনীতিতে। বিরোধী দলগুলো ক্রমাগত উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারকে তোপ দেগেছে এই নিয়ে। এরই মধ্যে এলাহাবাদ বা প্রয়াগরাজে এক কংগ্রেস নেতা আতিক আহমেদের কবরে জাতীয় পতাকা চাপিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছেন। দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন তিনি। এই সবের মাঝেই এবার এক প্রতিবেদনে দাবি করা হল, সোনিয়া গান্ধীর এক আত্মীয়র জমি জোর করে দখল করেছিলেন আতিক। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ থাকাকালীন এই কাজ করেছিল আতিক। সেই সময় উত্তরপ্রদেশের ক্ষমতাতেও ছিল সমাজবাদী পার্টি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন বিধায়ক থাকার পর সমাজবাদী পার্টির টিকিটে ফুলপুর কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন আতিক। এই ফুলপুর কেন্দ্র থেকেই এককালে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। এদিকে প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাংসদ থাকাকালীন ২০০৭ সালে গান্ধীদের আত্মীয়র জমি জবরদখল করেছিলেন আতিক।
জানা গেছে, প্রয়াগরাজের সিভিল লাইন্সে অবস্থিত বীরা গান্ধীর নামে থাকা জমিই আতিক জোরপূর্বক দখল করেছিলেন। নিজের গুণ্ডাবাহিনীকে কাজে লাগিয়ে এই জমি দখল করেছিলেন তৎকালীন সাংসদ। উল্লেখ্য, সোনিয়া গান্ধীর শ্বশুর ফিরোজ গান্ধীর পরিবারের সদস্য বীরা। জমি জবরদখল হওয়ার পর বীরা রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন। তবে তাঁর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
রাজ্য সরকারের সাহায্য না পেয়ে বীরা গান্ধী বিষয়টি জানিয়েছিলেন সোনিয়াকে। সেই সময় কংগ্রেস প্রধান তথা ইউপিএ চেয়ারপার্সন ছিলেন তিনি। পরে সোনিয়া গান্ধীর হস্তক্ষেপে এই জমি রক্ষা করা সম্ভব হয়েছিল। আতিক পরে সেই সম্পত্তি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বীরা গান্ধীকে।
এই ঘটনার সময় রীতা বহুগুণা যোশী ছিলেন উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান। তিনি টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানান, সোনিয়া গান্ধী তাঁকে বিষয়টি দেখতে বলেছিলেন। এদিকে, এ বিষয়ে ইন্ডিয়া টুডে গ্রুপকে আইজি লালজি শুক্লা বলেন, "জায়গাটি ছিল প্যালেস টকিজের পেছনে। আতিক জমিটি দখল করতে চেয়েছিল। সে এটাকে একটা পরীক্ষামূলক প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছিল। যদি সে এই কাজে সফল হত, তাহলে সে বীরা গান্ধীর পরিবারের মালিকানাধীন অন্যান্য জমিও দখল করত।"
প্রসঙ্গত, আতিক বিএসপি বিধায়ক রাজু পাল হত্যার প্রধান সাক্ষী উমেশ পাল হত্যা মামলাসহ ১০০টিরও বেশি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। আতিক আহমদ এবং তার ভাই আশরাফকে সম্প্রতি তিনজন লোক গুলি করে হত্যা করে এক হাসপাতালে। পুলিশকর্মীরা দুই ভাইকে মেডিকেল চেক-আপের জন্য প্রয়াগরাজের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন, সেই সময় ঘটনাটি ঘটে।