অবমাননা মামলায় ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নির্বাচন কমিশনের
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) মঙ্গলবার (১১ জুলাই) নির্বাচনী সংস্থা ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে (সিইসি) অবমাননার মামলায় পিটিআইপ্রধান ইমরান খান ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।
ইসিপি সদস্য নিসার দুররানির নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের চার সদস্যের একটি বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সিইসি ও নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে 'অসংযত' ভাষা ব্যবহারের অভিযোগে গত বছর ইমরান খান, আসাদ ওমর ও ফাওয়াদের বিরুদ্ধে মামলার প্রক্রিয়া শুরু করে ইসিপি।
নিজেদের অবস্থান জানাতে অভিযুক্তদের বা তাদের পক্ষ থেকে কোন আইনজীবীকে ইসিপিতে হাজির হতে বলা হয়েছিল।
তবে ইসিপির সামনে হাজির হওয়ার পরিবর্তে পিটিআই নেতারা নোটিশকে সংবিধানবিরোধী মন্তব্য করে বিভিন্ন আদালতে অবমাননার কার্যধারাকে চ্যালেঞ্জ করেন। তারা উচ্চ আদালতের কাছে অভিযোগ থেকে রেহাই পেতেও আবেদন করেন।
জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে যেতে ইসিপিকে অনুমোদন দেন। গত ২১ জুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। তলব করা সত্ত্বেও মঙ্গলবারের শুনানিতে ইমরান, ফাওয়াদ কিংবা আসাদ কেউই ইসিপিতে হাজির হননি।
আসাদ উমরের আইনজীবীর সহকারী ইসিপিকে বলেন, তার মক্কেলকে আরও একটি মামলার শুনানিতে উপস্থিত থাকতে হবে এবং তিনি চিকিৎসকের কাছেও যাবেন। তাকে সশরীর উপস্থিতি থেকে অব্যাহতির জন্য অনুরোধ জানানো হয়। নির্বাচন কমিশন আবেদন গ্রহণ করে আইনজীবীকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক আবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
একইভাবে ৯ মে সহিংস বিক্ষোভের পর পিটিআই ত্যাগ করা ফাওয়াদের বিষয়ে আইনজীবীর সহকারী জানান, তার মক্কেল লাহোরে আছেন।
পরে ইসিপি ফাওয়াদ ও ইমরানের বিরুদ্ধে জামিন-অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে এবং ২৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করে।