লাহোরে ইমরান খান গ্রেপ্তার
বেআইনিভাবে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির দায়ে পাকিস্তানের ক্ষমচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির একটি আদালত। এই রায় ঘোষণার পর আজ শনিবার (৫ আগস্ট) লাহোরে নিজ বাসভবন থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করেছে পকিস্তানের পুলিশ।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেলা আদালতের দেওয়া এই রায়ের কারণে আসন্ন নভেম্বরের প্রথম দিকে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনে ইমরানের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে।
ইমরানের আইনজীবী ইন্তেজার পাঞ্জোথা রয়টার্সকে বলেছেন, "পুলিশ ইমরান খানকে তার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা আদালতের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে পিটিশন দায়ের করছি।"
এদিকে, লাহোরের পুলিশ প্রধান বিলাল সিদ্দিক কামিয়ানা গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে রয়টার্সকে বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে রাজধানী ইসলামাবাদে স্থানান্তর করা হচ্ছে।
ইমরানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা ইতোমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে আরেকটি আপিল দায়ের করেছে।
পাকিস্তানের হাইকোর্ট জেলা আদালতের বিচার সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঠিক একদিন পরে ইমরানের বিরুদ্ধে এই রায় ঘোষণা করা হয়। হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও কেন এ বিচার কাজ এগলো তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়।
এক টুইটে পিটিআই জানিয়েছে, 'ইমরান খানকে কোট লাখপত জেলে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।'
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, তোশাখানা উপহারের তথ্য গোপন করার অপরাধে ইমরান খানকে তিন বছরের কারাদণ্ডসহ ১,০০,০০০ রুপি জরিমানার রায় দিয়েছে ইসলামাবাদের একটি বিচারিক আদালত।
এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (এডিএসজে) হুমায়ুন দিলাওয়ার এ রায় দেন।
দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার মাত্র তিনমাস আগে গ্রেপ্তার হলেন ইমরান। সম্প্রতি পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ঘোষণা দিয়েছেন, তার সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিনদিন আগেই, আগামী ৯ আগস্ট সংসদ ভেঙে দেওয়া হবে। ওই হিসাবে দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী নভেম্বরের মধ্যে।
পাকিস্তানি মিডিয়া এবং রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার লাহোর থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর তার বাসভবন ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে বেআইনিভাবে রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রি করার অপরাধে ইমরানের বিরুদ্ধে এই রায় দেওয়া হয়। যদিও সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।