চীনে ভয়াবহ ভূমিকম্প, নিহত অন্তত ১১৮
সোমবার রাতে চীনের উত্তর-পশ্চিমে পার্বত্য অঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পের আঘাতে এখনও পর্যন্ত অন্তত ১১৮ জনের নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫০ জন; তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এছাড়া ভূমিকম্পে বেশ কিছু ভবন ধসে পড়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। যত সময় গড়াচ্ছে, ততই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।
মঙ্গলবার সকালে শিনজিয়াং অঞ্চলেও হালকা ভূমিকম্প হয়েছে বলে চীনের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। তবে সেখানে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি।
সোমবার রাতের ভূমিকম্পে কেবল গানসু অঞ্চলেই ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। পার্শ্ববর্তী কিউইনঘাই অঞ্চল থেকে ১১ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। তবে সরকারিভাবে নিখোঁজ ব্যক্তির কোনো তালিকা এখনো পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি।
গানসুতে প্রথম কম্পন অনুভূত হয় রাত স্থানীয় সময় রাত ১২টা নাগাদ। গানসুর রাজধানী শহর লানঝাউ থেকে প্রায় ১০২ কিলোমিটার দূরে ভূমিকম্পের কেন্দ্র। মাটির ৩৫ কিলোমিটার নিচে কম্পন হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে চীনের শিনজিয়াং অঞ্চলেও ৫.৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে বলে জানা গেছে। চীনের আর্থ কোয়্যাক নেটওয়ার্ক সেন্টার এ খবর জানিয়েছে।
উদ্ধারকাজ চলছে
সোমবার ভূমিকম্প হওয়ার পর রাত থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। ভূমিকম্পের জেরে বহু জায়গায় আলো ও পানীয় জলের লাইন তছনছ হয়ে গেছে।
কিন্তু তীব্র ঠান্ডায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। হিমাঙ্কের নিচে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না উদ্ধাকর্মীরা। বেশিরভাগ রাস্তাই এখন বরফ ও তুষারে ঢাকা।
বহু জায়গায় রাস্তা এমনভাবে ভেঙেছে যে সেখানে পৌঁছানোই সম্ভব হচ্ছে না। বেশ কিছু জায়গার সঙ্গে এখনও যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি।
বস্তুত, এলাকাটি পার্বত্য হওয়ায় সমস্যা আরো বেড়েছে। সরকারের তরফে একটি দল তৈরি করা হয়েছে, যারা দ্রুত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখে ত্রাণের সুপারিশ করবে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দ্রুত উদ্ধারকাজ চালানোর কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আহতদের যত দ্রুত সম্ভব ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। চীনের ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট মন্ত্রণালয় লেভেল ফোর ডিজাস্টার ঘোষণা করেছে। সেইমতো উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।