রাশিয়ার নির্বাচনে পুতিনের ঐতিহাসিক জয় – আনুষ্ঠানিক ফলাফল
রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফল অনুযায়ী দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। সোমবার (১৮ মার্চ) এ ফলাফল প্রকাশ করে সেন্ট্রাল ইলেকশন কমিশন (সিইসি)।
নির্বাচনে পুতিন ৮৭ দশমিক ২৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। রেকর্ডসংখ্যক এ ভোট পেয়ে পঞ্চমবারের মতো রুশ প্রেসিডেন্ট হলেন তিনি। সাড়ে সাত কোটির বেশি ভোটার তাকে সমর্থন দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
নির্বাচনে ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির নিকোলাই খারিতোনভ, নিউ পিপল দলের ভ্লাদিস্লাভ দাভানকভ এবং লিবারেল ডেমোক্রেটস-এর লিওনিদ স্লাতস্কি। তারা যথাক্রমে ৪ দশমিক ৩১ শতাংশ, ৩ দশমিক ৮৫ শতাংশ ও ৩ দশমিক ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছেন।
২০০০ সালে সর্বপ্রথম রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন পুতিন। ২০০৮ সাল পর্যন্ত চার বছর মেয়াদে টানা দুবার রাশিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন তিনি।
এরপর ২০০৮–২০১২ মেয়াদে প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের ক্ষমতার সময় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন পুতিন। মেদভেদেভের সময় তিনি প্রেসিডেন্টের মেয়াদ বাড়িয়ে ছয় বছর করেন।
তারপর ২০১২ সালে পুনরায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হন ভ্লাদিমির পুতিন। ২০১৮ সালেও তিনিই প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। ২০২০ সালে সংবিধানের বড়সড় সংস্করণের অংশ হিসেবে রাশিয়া এর নির্বাচনি বিধিমালায় পরিবর্তন আনে। সেখানে পুতিনের আগের মেয়াদগুলো 'রদ' করে তাকে এ বছর আবার প্রেসিডেন্ট পদে লড়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
নির্বাচনের আগে ভোটারদের উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে পুতিন রাশিয়ানদের ভোটে অংশ নিতে উৎসাহিত করে বলেন, 'প্রতিটি ভোটই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবাহী।' ভোটের ফলাফল আগামী বছরগুলোতে দেশের উন্নয়ন নির্ধারণ করে দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় রাশিয়া বর্তমানে একটি 'কঠিন সময়ের' মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে বলেও স্বীকার করেন ভ্লাদিমির পুতিন।
এ বছর রাশিয়ার নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোটার ভোট দিয়েছেন। সিইসি'র তথ্য বলছে, এবার ভোটের হার ৭৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনে ৬৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
এ প্রথমবারের মতো 'রাশিয়ার নতুন অঞ্চল' দনেৎস্ক ও লুহানস্ক এবং খেরসন ও জাপোরিজজিয়া অঞ্চলেও ভোটের আয়োজন করা হয়েছিল। ইউক্রেনে আক্রমণের পর রাশিয়া এ অঞ্চলগুলো অধিগ্রহণ করে।