আনুষ্ঠানিকভাবে ডেমোক্র্যাট পার্থী নির্বাচিত হলেন কমলা হ্যারিস
নভেম্বরের আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আনুষ্ঠানিক প্রার্থী হিসেবে বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২ আগস্ট) পার্টির সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের (ডেলিগেট) ভোটে তাকে এই মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে বৃটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট প্রার্থী চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ডেমোক্র্যাটিক পার্টি গত বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) থেকে ই–মেইলে ভোট গ্রহণ শুরু করে। সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা তাদের এ পছন্দের প্রার্থীর কথা জানাতে পারবেন আগামী সোমবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা পর্যন্ত। তবে ভোট গ্রহণ শুরুর ৩৬ ঘণ্টার মধ্যেই ২ হাজার ৩৫০ জন প্রতিনিধির সমর্থন [মনোনয়ন অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন] পেয়ে গেছেন হ্যারিস।
কমলা হ্যারিস প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে টেলিফোনে বলেন, "সম্ভাব্য মনোনীত হতে পেরে আমি সম্মানিত। আমরা আমেরিকার প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করি।"
আগামী সপ্তাহে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীর মনোনয়ন গ্রহণ করবেন। এরপর চলতি মাসের শেষের দিকে শিকাগোতে ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে সবার সঙ্গে যোগ দেবেন তিনি।
প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী এবং প্রথম দক্ষিণ এশীয় নারী হিসেবে ৫৯ বছর বয়সী হ্যারিস মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদের জন্য লড়ছেন। আসন্ন নির্বাচনে রিপাবলিকান মনোনীত প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজিত করতে পারলে তিনি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট।
শুরুতে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়ন পেলেও নির্বাচনী বিতর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে তিনি একপ্রকার নাস্তানাবুদ হন। এরপরেই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য নিজ দলের সদস্য ও ভোটারদের কাছ থেকে একে একে চাপের মুখে পড়তে থাকেন তিনি।
সংশ্লিষ্টরা দাবি করেন, বাইডেন 'বুড়ো' হয়ে গেছেন এবং 'ট্রাম্পকে হারানোর মত যোগ্যতা তার আর অবশিষ্ট নেই'। এমনকি অনেক ডেমোক্রেট অর্থদাতাও তাকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে অনুরোধ করেন।
পরবর্তীতে গত ২১ জুলাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একই সাথে নতুন প্রার্থী হিসেবে কমলা হ্যারিসের প্রতি নিজের সমর্থন জানান তিনি।