মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে বাংলাদেশী কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির আহ্বান কয়েকজন মার্কিন কংগ্রেস সদস্যের
শেখ হাসিনার অধীনে থাকা সরকারি কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছেন মার্কিন কংগ্রেসের ছয় সদস্য। হোলেনসহ আরও পাঁচজন কংগ্রেসের ডেমোক্র্যাট সদস্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেনের কাছে একটি চিঠিতে এ দাবি জানান।
তারা চিঠিতে শেখ হাসিনা সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছেন এবং একই সঙ্গে তাঁরা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ক্ষমতাচ্যুত সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন।
তবে এ বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারা নিষেধাজ্ঞা-সম্পর্কিত কোনো পদক্ষেপের পূর্বাভাস দেয় না।
গত বৃহস্পতিবার শান্তিতে নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ গ্রহণ করেছে। এ সরকারের লক্ষ্য হলো দেশে নির্বাচন উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি করা।
গত মাসে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে দেশের ছাত্রজনতা। এ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অনেক বিক্ষোভ ও সহিংসতা হয়েছে। এই বিক্ষোভগুলো পরবর্তীতে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার আন্দোলনে পরিণত হয়, যিনি জানুয়ারিতে টানা চতুর্থবারের মতো একটি নির্বাচনে বিজয়ী হন, যা বিরোধী দল বর্জন করেছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছিল যে নির্বাচনটি অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি।
বিক্ষোভ দমন করতে গিয়ে শেখ হাসিনার ছাত্র লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে অন্তত ৩০০ জন নিহত হন। এরপরই পদত্যাগ করতে বাধ্য হন শেখ হাসিনা।