ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানির শর্ত শিথিল; দেশে দাম কমার সম্ভাবনা
প্রতি টন পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে পূর্বে নির্ধারিত ৫৫০ ডলার মূল্যের শর্তটি তুলে নিয়েছে ভারত সরকার। পাশাপাশি কমানো হয়েছে রপ্তানি শুল্ক । ফলে দেশের বাজারেও কমতে পারে পেঁয়াজের দাম।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রপ্তানিমূল্য বা 'মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস'–সংক্রান্ত শর্ত বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে, ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা এখন যেকোনো দামে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারবেন।
ডিজিএফটি একটি বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেছে, 'পেঁয়াজের রপ্তানির ওপর ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস শর্তটি প্রত্যাহার করা হলো এবং পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এটি কার্যকর থাকবে।'
ভারত অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে একসময় পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে চলতি বছরের মে মাসে ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, কিন্তু প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের জন্য ৫৫০ ডলার ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য আরোপ করে। এর ফলে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়ে যেত। এখন উন্মুক্ত দামে আমদানির সুযোগ পাওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেকাংশেই কমে যাবে।
ভারতের এই পদক্ষেপে পেঁয়াজ রপ্তানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে যায়। গত জুন মাসেই ভারতের পেঁয়াজ রপ্তানি ৫০ শতাংশের বেশি কমে গেছে।
এছাড়া, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত ভারত থেকে ২ লাখ ৬০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানি হয়েছে। গত অর্থবছরে এই পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ১৭ হাজার টন।
অনুবাদ: সাকাব নাহিয়ান শ্রাবন