সেমি-ফাইনালে হারলেও দলের খেলায় মুগ্ধ মরক্কোর ভক্তরা
শেষ চারে ফ্রান্সের কাছে ২-০ গোলে হেরে ভেস্তে গেলো মরক্কোর বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন।
প্রথম আফ্রিকান দেশ হিসেবে ফাইনালে ওঠা হলো না তাদের। বৃহস্পতিবারের (বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টা) ম্যাচে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের কাছে সেমি-ফাইনালেই থেমে গেলো অ্যাটলাস লায়নদের কাতার বিশ্বকাপ যাত্রা।
তবে ফাইনালে উঠতে না পারলেও ভক্তরা অসন্তুষ্ট নন খেলোয়াড়দের পারফর্মেন্স নিয়ে। বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে অংশ নেওয়ার সুযোগ না হওয়ায় মনে দুঃখ থাকলেও অ্যাটলাস লায়নদের পাশে আছেন মরক্কোর ফুটবল ভক্তরা।
ম্যাচ শেষে আল বায়েত স্টেডিয়ামে কাসাব্লাঙ্কার হাসান চাডিলির সঙ্গে কথা হয় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার। হাসান বলেন, "আমি মিথ্যা বলব না, আমরা সত্যিই খানিটা মনঃক্ষুণ্ণ।"
"নকআউট ম্যাচগুলো জেতার পর আমাদের আশা অনেক বেড়ে গিয়েছিল। দুঃখজনকভাবে আমরা এই ম্যাচ উতরাতে পারিনি। তবে আমাদের দলের জন্য আমরা সত্যিই খুব গর্বিত," যোগ করেন হাসান।
তিনি আরও বলেন, "বিশ্বের সবচেয়ে বিস্ময়কর খেলোয়াড়রা রয়েছেন আমাদের দলে… কোচ (ওয়ালিদ রেগ্রাগুই) এবং প্রশিক্ষণ কর্মীরাও... এই সময় কাতারে থেকে ম্যাচ দেখা আমার এবং আমাদের দেশের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যা আমি কখনই ভুলব না।"
সেমি-ফাইনালের আগের ম্যাচগুলোতে মরক্কোর ভক্তদের এতটা উচ্ছ্বাস-আনন্দ খুব একটা চোখে না পড়লেও গ্যালারি থেকে প্রায়ই 'ডিমা মাগরিব' (সর্বদা মরক্কো) কথাটি ভেসে আসতে শোনা গেছে।
আগের সপ্তাহে পর্তুগাল, তার আগে স্পেন এবং বেলজিয়ামকে হারিয়ে যতটা উচ্ছ্বসিত ছিল মরক্কোর ভক্তরা তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি উৎসাহ দেখা গেছে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে।
ইয়াসিন বুজিয়ান বলেন, "আমি সত্যিই আশা করছিলাম আমরা ফাইনালে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হতে পারব … তবে ফ্রান্স আমাদের চেয়ে ভাল খেলেছে।"
"তবে সত্যি বলতে, আমি হতাশ নই। তারা (খেলোয়াড়রা) যতটুকু করতে পারত, তা করেছে। কেউ হয়তো এতটুকুও আশা করেনি। তারা অনেক মানুষকে খুশি করেছে- সারা বিশ্বের সমস্ত মুসলিম, আরব এবং আফ্রিকার মানুষদের আনন্দিত করতে পেরেছে তারা," যোগ করেন এই ভক্ত।
আগামী রোববার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় লুসাইল স্টেডিয়ামে ফাইনালে আর্জেন্টিনার মুখোমুখি হবে ফ্রান্স; এবং এর আগের দিন শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় তৃতীয় স্থান নির্ধারণে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হতে চলেছে মরক্কো।