চাল, গম আমদানিতে কোটা সুবিধার বিষয়ে দিল্লির ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে ঢাকা: টিপু মুনশি
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, নির্ধারিত পরিমাণে চাল, গম ও পেঁয়াজসহ সাতটি পণ্য আমদানিতে বাংলাদেশকে বার্ষিক কোটা সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে ভারত।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে টিপু মুনশি বলেন, 'পণ্য আমদানিতে যে কোটার কথা বলেছি সেখানে পরিমাণ উল্লেখ করেছিলাম। তারা (ভারত) বলেছে, পরিমাণ তো আমরা (বাংলাদেশ) আন্দাজ করে বলেছি। সেক্ষেত্রে সঠিক কত পরিমাণ পণ্য প্রয়োজন হবে, সেটি নির্ধারণ করতে বলেছে। আমরা একটু বেশি করেই চেয়েছিলাম। তারা বলেছে। অতীতের ৭-৮ বছরের রেকর্ড বলে না যে তোমাদের (বাংলাদেশের) এত দরকার।'
মন্ত্রী বলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে দুই দেশ আলোচনা করে বিষয়টি চূড়ান্ত করবে।
এছাড়া পাটজাত সামগ্রীর ওপর ২০১৭ সাল থেকে আরোপিত অ্যান্টি-ডাম্পিং শুল্কত আর বহাল না রাখার জন্য ভারতকে অনুরোধ করা হয়েছে বলেও জানান টিপু মুনশি।
এছাড়া প্রস্তাবিত বাংলাদেশ-ভারত সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তির (সেপা) লক্ষয নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
টিপু মুনশি বলেন, আমদানি-রপ্তানিতে বিনিময় মাধ্যম হিসেবে ডলারের পরিবর্তে রুপি ব্যবহার করা যায় কি না, সে বিষয়েও আলাপ হয়েছে। তবে বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছে, কারণ বাংলাদেশ কোন কোন সুবিধা পাবে তা আগে বিবেচনা করতে হবে।
টিপু মুনশি আরও বলেন, ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের উপস্থাপিত বিষয়গুলো ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ আমদানির জন্য প্রতি বছর ৪৫ লাখ টন গম, ২০ লাখ টন চাল, ৭ লাখ টন পেঁয়াজ, ১৫ লাখ টন চিনি, ১.২৫ লাখ টন আদা, ৩০ হাজার টন মসুর ডাল ও ১০ হাজার টন রসুনের কোটা চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
প্রতিবছর মার্চে জাতীয় বাজেট ঘোষণার সময় নেপাল ও ভুটানে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্য রপ্তানির কোটা ঘোষণা করে ভারত।
আগামী অর্থবছরের বাজেট ঘোষণাকালে বাংলাদেশের জন্যও একইভাবে কোটা সুবিধার ঘোষণা দিতে পারে বলে আশা করছে ঢাকা।