'১৭ বছরের ব্যবসা একদিনে শেষ'
মঙ্গলবারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটের প্রায় ৩,৫০০ দোকান পুড়ে গেছে। আগুনে কমপক্ষে ৩৬ জন মানুষ আহত হয়েছেন। আনুমানিক ৫,০০০ ব্যবসায়ী এ আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
সকালে দুর্ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মালামাল সরাতে দেখা যায়। অনেকেই কিছু পণ্যসামগ্রী অক্ষত থাকতে পারে- এ আশায় পোড়া ছাই আর ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই হাতড়ে বেড়াচ্ছিলেন।
বঙ্গবাজার মহানগর মার্কেটের ব্যবসায়ী শাহ আলম জানান, পুলিশ সদর দপ্তরের সামনের দোকানগুলোর মালামাল ধোঁয়া আর পানিতে নষ্ট হয়েছে।
তিনি বলেন, "সৌভাগ্যবশত আগুনে আমাদের দোকানের পার্শ্বে পুরোপুরি ক্ষতি হয়নি। কিছু দোকান এখনও ঠিক আছে। অন্যান্য জিনিসের সাথে দোকান থেকে আমরা যতটুকু পারছি আরএমজি পণ্য সরিয়ে নিচ্ছি।"
"গতকাল সকাল থেকেই মালামাল রক্ষার চেষ্টা করছি কিন্তু পেরে উঠতে পারিনি। এখন এই ধ্বংসস্তূপের মধ্যেই আগুনে যেসব মালামাল নষ্ট হয়নি, তা খুঁজে চলেছি।"
"ভাগ্যক্রমে আমি আমার ক্যাশবক্সটা ফিরে পেয়েছি", যোগ করেন তিনি।
তানভীর গার্মেন্টস নামক একটি দোকানের মালিক সজিব হোসেন টিবিএসকে বলেন, "আমার ১৭ বছরের ব্যবসা পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে। দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ৩৭ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে মোট। আগে থেকেই আমি ১৫ লাখ টাকার ঋণে ছিলাম।"
এদিকে, গুলিস্তান-বঙ্গবাজার এলাকায় আজকেও ছাই থেকে ধোঁয়া উঠতে হতে দেখা গেছে; ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের দেখা যায় পানি ছিটাতে।
মূল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গবাজারের অ্যানেক্সকো টাওয়ারে আবারও আগুন লাগে।
ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোঃ শাহজাহান শিকদার গণমাধ্যমকে জানান, গতকাল দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও ভবনটির ওপরের তলা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়।
বুধবার সকালে ফায়ার সার্ভিসের আরও দুটি ইউনিট ভবনটির ওপরের তলায় আগুন নির্বাপণে যোগ দেয়।
অ্যানেক্সকো টাওয়ারের গার্মেন্টস কর্মী হাবিবুর রহমান বলেন, "ওপরে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীর আরএমজি পণ্যের গুদাম রয়েছে। সেখান থেকে এখনও প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া বের হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ করছেন।"