ভারতের সাথে রুপিতে বাণিজ্যে লেনদেনের খরচ কমবে:কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে রুপিতে বাণিজ্যিক লেনদেন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে, বৈদেশিক বাণিজ্যের মুদ্রা বহুমুখীকরণের নতুন যুগের সূচনা হলো। পাশাপাশি আগামী সেপ্টেম্বর থেকে চালু হবে টাকা-রুপির ডুয়েল কারেন্সি কার্ড।
'ভারতীয় রুপিতে বাংলাদেশ বাণিজ্য'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার বলেছেন, ডুয়েল কারেন্সি কার্ড চালু হলে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক লেনদেনের খরচ কমবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ভারতীয় হাইকমিশন মঙ্গলবার (১১ জুলাই) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, 'ডুয়েল কারেন্সি কার্ড প্রায় প্রস্তুত। সেপ্টেম্বর থেকে এটি চালু হবে।'
তিনি বলেন, 'রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক) গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের সঙ্গে আমি বেঙ্গালুরুতে দেখা করে দুটি প্রস্তাব দেই। এর একটি ছিল রুপিতে বাণিজ্য। এই বাণিজ্যের একটি মনস্তাত্ত্বিক দিকও আছে – কারণ ভারতীয়রা যখন তাদের নিজেদের মুদ্রায় (বাংলাদেশের) পণ্য কিনবে, তখন সেটা তাদের নিজ দেশের পণ্য বলেই মনে করবে। এতে আমাদের বাণিজ্য বাড়বে'।
প্রথম দিনে ২৮ মিলিয়ন রুপি লেনদেনের মধ্যে দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে প্রথম রুপিতে রপ্তানি চালান পাঠিয়েছে বগুড়ার তামিম ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। রপ্তানি চালানের মূল্য ছিল ১৬ মিলিয়ন রুপি। এটি আমদানির ঋণপত্র খোলে ভারতের আইসিআইসিআই ব্যাংক। আর রপ্তানিকারকের ব্যাংক ছিল স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (এসবিআই) বাংলাদেশ শাখা। অনুষ্ঠানে অতিথিদের কাছ থেকে রপ্তানি নথি গ্রহণ করেন তামিম এগ্রোর চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান আলী।
রুপিতে দেশের প্রথম আমদানি করেছে নিটল-নিলয় গ্রুপ। আমদানি চালানের মূল্য ১২ মিলিয়ন রুপি। আমদানির ঋণপত্র খোলে এসবিআই এর ঢাকা অফিস। অনুষ্ঠানে অতিথিদের থেকে আমদানি নথি গ্রহণ করেন নিটল-নিলয় গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মতলুব আহমেদ।
আমদানি ও রপ্তানির চালানগুলো হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক এবং ভারতের স্টেট ব্যাংক অভ ইন্ডিয়া ও আইসিআইসিআই ব্যাংক।