হিরো আলমের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো, পূর্ণ তদন্তের দাবি
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা এবং পূর্ণ তদন্ত ও জড়িতদের জবাবদিহিতার দাবি জানিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো।
"আমরা ১৭ জুলাই ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী আশরাফুল আলমের- যিনি হিরো আলম নামে পরিচিত- ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা পূর্ণ তদন্ত ও দোষীদের জবাবদিহিতার দাবি জানাই", এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূতাবাস ও হাইকমিশন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহিংসতার কোনো স্থান নেই।"
আসন্ন নির্বাচন যেন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে সেখানে।
এর আগে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ।
ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস টুইট করেন, "সহিংসতা ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সকলের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত ও এটি সুরক্ষিত করতে হবে।"
এছাড়া সোমবার ওয়াশিংটনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের সময় হিরো আলমের ওপর হামলার বিষয়টি তুলে ধরে বলেন, "গণতান্ত্রিক নির্বাচনে এ ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার কোনো স্থান নেই।"
হিরো আলমের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও।
সোমবার (১৭ জুলাই) বিকেল ৩টার দিকে বনানীর বিদ্যানিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যান হিরো আলম।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয়রা জানান, আলম ভক্তদের সঙ্গে ছবি তুলছিলেন। তখন একদল লোক তার কাছে এসে বলে, এটি টিকটক কনটেন্ট তৈরির সময় বা জায়গা নয়।
তিনি পাল্টা জবাব দিলে তারা তাকে ধাওয়া করে এবং তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হস্তক্ষেপ করলে হিরো আলম গাড়িতে করে সরে যেতে সক্ষম হন।
এ ঘটনায় সেদিনই চারজনকে আটক করা হয়; অজ্ঞাত ১৫-২০ জনের বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে।