জুয়ায় ৫ কোটি রুপি জিতে আরও টাকার লোভে ৫৮ কোটি রুপি খোয়ালেন ব্যবসায়ী
বেশি টাকার আশায় প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হলেন ভারতীয় ব্যবসায়ী। অনলাইন জুয়ার মাধ্যমে ওই ব্যবসায়ী প্রথমে ৫ কোটি রুপি জিতেছিলেন। কিন্তু পরে সবমিলিয়ে তিনি ৫৮ কোটি রুপি প্রতারণার শিকার হন। ঘটনাটি ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের।
এই ঘটনার অভিযোগ পেয়েই তৎপরতার সঙ্গে পদক্ষেপ গ্রহণ করে পুলিশ। সন্দেহজনক এক বুকির বাড়িতে হানা দিয়ে চার কেজির সোনার বিস্কুটসহ ১৪ কোটি রুপি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন অনন্ত ওরফে সন্তু নবরতন জৈন নামে এক অভিযুক্ত। ওই অভিযুক্ত গোন্ডিয়া শহরের বাসিন্দা। নাগপুরের পুলিশ কমিশনার অমশ কুমার জানান, প্রাথমিকভাবে অনন্ত ওই ব্যবসায়ীকে বাড়িতে বসেই মুনাফা অর্জনের জন্য একটি লোভনীয় উপায় হিসাবে অনলাইন জুয়া খেলার প্রলোভন দেখিয়েছিলেন। সেই প্রলোভনে পা দিয়ে ওই ব্যবসায়ী অনলাইনে জুয়া খেলতে রাজি হয়ে যান।
প্রাথমিকভাবে ওই ব্যবসায়ীকে হাওয়ালার মাধ্যমে অনন্ত ৮ লাখ রুপি দেন। এরপর হোয়াটসঅ্যাপে তাকে জুয়া খেলার জন্য লিঙ্ক পাঠায় প্রতারকরা। অ্যাকাউন্টে আট লাখ রুপি জমা দেখতে পান ব্যবসায়ী এবং জুয়া খেলতে শুরু করেন বলে পুলিশ সুপার জানান।
প্রথমে জুয়া খেলে ভালোই জিতছিলেন ব্যবসায়ী। পুলিশ কমিশনার জানান, ওই ব্যবসায়ীর বিশ্বাস অর্জনের জন্য প্রথমে তাকে প্রতারকরা জিতিয়েছিল। সবমিলিয়ে তিনি ৫ কোটি টাকা জিতেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে আর ভাগ্য সঙ্গে ছিল না ওই ব্যবসায়ীর। তিনি লাগাতার হেরেই যাচ্ছিলেন। প্রায় ৫৮ কোটি টাকা তিনি হারান।
লাগাতার হেরে যাওয়ায় ব্যবসায়ী সন্দেহ হয়। তিনি বুঝতে পারেন প্রতারণার শিকার হয়েছেন। এরপরেই অনন্তর কাছে টাকা ফেরতের দাবি জানান তিনি। কিন্তু সেই টাকা ফেরত দিতে রাজি হননি অনন্ত।
এরপর ব্যবসায়ী সাইবার পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে প্রতারণার মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ গোন্ডিয়াতে অনন্তের বাসভবনে অভিযান চালায়। অভিযান চালিয়ে নগদ ১৪ কোটি রুপি ও চার কেজি সোনার বিস্কুটসহ প্রমাণ বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, অভিযুক্ত দুবাইয়ে পালিয়ে গিয়েছে।