প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সবচেয়ে সুরক্ষিত এটক কারাগারে ইমরান খান
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে শনিবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় এটক ডিস্ট্রিক্ট জেলে নেওয়া হয়েছে। এর আগে তোশাখানা মামলায় রায় ঘোষণার পর লাহোরের জামান পার্ক থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সড়ক পথে পিটিআই প্রধানকে এটক কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। কারাগারের দিকে যাওয়া সব সড়ক সেদিন বন্ধ ছিল। প্রত্যেক সড়কে মোতায়েন ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য।
এটক কারাগারের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ইমরান খানের জন্য কারাগারে ভিভিআইপি সেল প্রস্তুত করা হয়েছে। সেলে কোন এসি নেই তবে ফ্যানের ব্যবস্থা আছে। পৃথক বিছানা ও টয়লেট আছে।
ইমরান খানই প্রথম প্রধানমন্ত্রী যাকে এটক কারাগারে নেওয়া হয়েছে। এর আগে ১৯৯৯ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফকে এটক দুর্গে কারাবন্দী হিসেবে রাখা হয়েছিল।
এটক কারাগার থেকে দুর্গের দুরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনামলে ১৫৮১-৮৩ খ্রিষ্টাব্দে এই দুর্গ তৈরি করা হয়। সিন্ধু নদী পারাপারের পথ সুরক্ষিত করতে এই দুর্গ গড়ে তোলেন আকবর। দুর্গ নির্মাণের তত্ত্ববধায়ন করেন খাজা শামছুদ্দিন খাওয়াফি।
খায়বার পাখতুন সীমান্তে অবস্থিত এই দুর্গের প্রবেশদ্বার রাওয়ালপিন্ডি-পেশওয়ার জিটি সড়কের পাশে।
অন্যদিকে এটক কারাগার রাওয়ালপিন্ডি-পেশওয়ার রেলপথের পাশে শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। ৬৭ একরজুড়ে বিস্তৃত এই কারাগার ব্রিটিশ শাসনামলে (১৯০৫-০৬ সাল) গড়ে তোলা হয়।
সাধারণত সশস্ত্র বিদ্রোহীদের এই কারাগারে রাখত ব্রিটিশ শাসকরা। এই কারাগারকে দেশটি সবচেয়ে সুরক্ষিত কারাগার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিচার চলমান থাকা ঘাগু আসামীদের প্রধানত এখানে রাখা হয়।
১৯৯৯ সালে পাঞ্জাবের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী শেহবাজ শরীফকে এটক কারাগারে রাখা হয়েছিল। পিএমএল-এন প্রধান নওয়াজ শরিফের ছেলে হুসেইন নওয়াজ, খায়বার পাখতুনের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী সরদার মেহতাব আহমেদ খান, সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী আজম খান এবং এমকিউএম নেতা ডক্টর ফারুক সাত্তারও এই কারাগারে ছিলেন।
চলতি বছরের শুরুর দিকে পিটিআই নেতা শাহ মেহমুদ কুরেশিকে একই কারাগারে রাখা হয়েছিল।