মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনিটারি পলিসি কমিটি পুনর্গঠন
কার্যকরীভাবে দেশের মূল্যস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএএফ) পরামর্শ অনুযায়ী এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে ৭ সদস্য বিশিষ্ট মনিটারি পলিসি কমিটি পুনর্গঠন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
নতুন এই ফরম্যাট অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে গভর্নরসহ চারজন ও বাইরের তিনজন নিয়ে মোট সাত সদস্যের কমিটি হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর এই কমিটির সভাপতি থাকবেন। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের বাকি তিনজন সদস্য হবেন- চিফ ইকোনমিস্ট, মনিটারি পলিসি বিভাগের ডেপুটি গভর্নর ও মনিটারি পলিসি বিভাগের নির্বাহী পরিচালক।
এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাইরে বাকি তিনজন হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ও দেশের একজন সুপরিচিত অর্থনীতিবিদ।
যদিও আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনিটারি পলিসি 8 সদস্য বিশিষ্ট হতো, যা শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারাই হতেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর সভাপতি, চারজন ডেপুটি গভর্নর- চিফ ইকোনমিস্ট, মনিটারি পলিসি বিভাগের পরিচালক ও নির্বাহী পরিচালক সদস্য হতেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা বলেন, "এতদিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মনিটারি পলিসি কমিটি ছিল ইনফরমাল। এর ফলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় সমালোচনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তাই এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনিটারি পলিসি গঠনে একটি প্রাতিষ্ঠানিক পদ্ধতি গঠন করেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্য হলো ডিসেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতিকে ৮%-এ নামিয়ে আনা।"
গত মার্চ থেকে সাধারণ মূল্যস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে ৯% এর উপরে রয়েছে, নিম্ন-আয়ের জনগোষ্ঠীর জন্য যা জীবনযাত্রার ব্যয়কে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে আসছে। সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৯.৬৩% হয়েছে, যা আগস্টে ৯.৯২% ছিল।
খাদ্য মূল্যস্ফীতিও সেপ্টেম্বরে ১২.৩৭% এ নেমে আসে, যা আগস্টে ১২.৫৪% ছিল, গত এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, "এই মনিটারি পলিসির ফরম্যাটের কারণে আমাদের কাজ আরও সহজ হয়ে যাবে। একইসঙ্গে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন গ্রুপের সঙ্গে আমাদের সমন্বয় সহজ হবে।"
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন এ কমিটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন সময়ের জন্য মুদ্রানীতি প্রণয়ন করবে।