থানায় জিডি করে ফেরার পর ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
সিলেট নগরের বালুচরে এক ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার (২০ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরের বালুচরের টিবি গেট এলাকায় ছাত্রলীগকর্মী আরিফ আহমদের (১৯) ওপর হামলা হয়। মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) রাত দেড়টার দিকে হাসপাতালে তিনি মারা যান।
নিহত ছাত্রলীগকর্মী আরিফ নগরের টিবি গেট এলাকার ফটিক মিয়ার ছেলে। ৪/৫ দিন আগেও আরেকবার হামলার শিকার হয়েছিলেন তিনি। সে ঘটনায় সোমবার বিকেলে থানায় জিডি করে ফেরার কয়েকঘণ্টা পরে আবারও হামলা হয় তার ওপর।
এদিকে, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপু গ্রুপের কর্মী-সমর্থকরা আরিফকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিহত আরিফ ছাত্রলীগ সিলেট জেলা কমিটির সভাপতি নাজমুল ইসলাম গ্রুপের কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, নগরের বালুচরে ছাত্রলীগের দুটো গ্রুপের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জেরে রাত ১২টার দিকে আরিফকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত দেড়টার দিকে তিনি মারা যান।
সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী মাহমুদ বলেন, "বালুচরে আহত একজন রাত দেড়টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।"
তিনি আরও জানান, "যেহেতু ঘটনা শাহপরান থানাধীন এলাকায় আমরা তাদের বিষয়টি জানিয়েছি। তারা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।"
এদিকে, নিহত আরিফকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি কিশওয়ার জাহান সৌরভ ও সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ।
ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম বলেন, "নিহত আরিফ সিলেট সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। চার-পাঁচদিন আগে আরিফের ওপর হামলা করেছিল এলাকার কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী। হামলার ঘটনায় সোমবার বিকালে নগরের শাহপরান থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন আরিফ। সেখান থেকে ফেরার পর তার ওপর হামলা চালানো হয়।"
এ ব্যাপারে ৩৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।