অপরাধ নিয়ন্ত্রণে ভারতের সাথে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানে আরও গুরুত্ব দেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিভিন্ন ধরনের আন্তঃসীমান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদানে আরও গুরুত্ব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সাথে বৈঠকের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "ট্রান্স-ন্যাশনাল ক্রাইম, বর্ডার ক্রাইম, অর্গানাইজড ক্রাইম- এগুলো যতোটা সম্ভব যেন কমানো যায়, এটা নিয়ে যাতে ইন্টেলিজেন্স শেয়ারিং হয় সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারতের সাপোর্ট সবসময়ই বাংলাদেশ পেয়ে থাকে।"
ভিসা জটিলতা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল তাদের স্টাফ-অফিসার কম, সেজন্য তারা অ্যাপয়েন্টমেন্টটা একটু দেরিতে দিচ্ছে।
"তারপরও হাইকমিশনার জানিয়েছেন, ২০২৩ সালে ১৬ লাখের বেশি বাংলাদেশিকে ভারত ভিসা দিয়েছে। একদিনে সর্বোচ্চ সাত হাজার পর্যন্ত ভিসা দিয়েছে। ভবিষ্যতে তারা এটাকে আরও সহজ করার কথা চিন্তা-ভাবনা করছে," বলেন কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-র সম্পর্ক যাতে আরও ভালো হয়, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
"বিজিবিকে সাইবার সিকিউরিটি এবং সাইবার ফরেনসিক বিষয়ে আরও ট্রেনিং দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। ভারত সহযোগিতা করবে বলে হাইকমিশনার জানিয়েছেন," যোগ করেন তিনি।