বাইডেনের কুকুর দশ মাসে ২৪ জন সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টকে কামড়েছে: নতুন তথ্য
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কুকুর কমান্ডার এ পর্যন্ত সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের প্রায় ২৪ বার কামড়ে দিয়েছে। এর আগে যে সংখ্যা বলা হয়েছিল, তার চেয়ে এটি অনেকটাই বেশি।
জার্মান শেফার্ড জাতের কুকুর কমান্ডার ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত অন্তত দুই ডজন মানুষকে কামড়ে দিয়েছে। নতুন প্রকাশিত নথিতে এ তথ্য উঠে এসেছে।
কমান্ডারের এভাবে কামড়ানো নিয়ে উদ্বেগে পড়েছেন মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের শীর্ষ কর্মকর্তারা। এ কারণেই তারা কামড়ানোর ঘটনার রেকর্ড রাখতে শুরু করেন। পাশাপাশি এজেন্টদের সতর্ক থাকতে সাবধান করে দিয়েছেন।
১১তম কামড়ানোর ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর কমান্ডারকে হোয়াইট হাউস থেকে বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সে এখন পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে থাকছে।
ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রীর কাছ থেকে কমান্ডারকে উপহার পেয়েছিলেন বাইডেন। তবে হোয়াইট হাউস থেকে বের করে দেওয়া দ্বিতীয় কুকুর সে। এর আগে মেজর নামের আরেকটি জার্মান শেফার্ডকে কামড়ানোর ঘটনায় অন্য একটি পরিবারের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছিল।
সিক্রেট সার্ভিসের কুকুরকে প্রশিক্ষণ ও সামলানোর দায়িত্ব পালন করা এজেন্টরাও হোয়াইট হাউস ও বাইডেনের ডেলাওয়্যারের বাড়িতে কমান্ডারের কামড় থেকে রেহাই পাননি।
ক্যাম্প ডেভিডসহ অন্যান্য জায়গায় সিক্রেট সার্ভিস এজেন্টদের কামড়ানোর ঘটনা ঘটেছে।
২০২২ সালের অক্টোবরে কমান্ডারের কামড় খাওয়া একজন এজেন্ট মেইলে লিখেছেন যে তারা প্রেসিডেন্টের পরিবারের পোষা কুকুরের কামড়ানোর ঘটনা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
কমান্ডার-আতঙ্ক সম্ভবত পুরো এজেন্সিতেই ছড়িয়ে পড়েছে।
গত জুনে কমান্ডার একজন স্পেশাল এজেন্টকে এত বাজেভাবে কামড়েছিল যে তার সেলাই লেগেছিল। মেঝে রক্তে মাখামাখি হয়ে যাওয়ায় সেবার হোয়াইট হাউসের পূর্ব উইংয়ে দর্শনার্থী প্রবেশ প্রায় ২০ মিনিট বন্ধ রাখতে হয়েছিল।
এজেন্টরা যেসব জায়গায় টহল দেন, মাঝে মাঝে ওইসব জায়গাতেও কমান্ডারকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
মাঝে মাঝে প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন উপস্থিত থাকা অবস্থায়ও এজেন্টদের কামড়েছে কমান্ডার।
সম্প্রতি ফার্স্ট লেডির মুখপাত্র এলিজাবেথ আলেকজান্ডার বলেছেন, প্রেসিডেন্টের পরিবার কমান্ডারকে নিয়ন্ত্রণের রাখার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল, কিন্তু সেগুলো কোনো কাজে আসেনি।