অভিবাসনে এখনও দালালদেরই দৌরাত্ম্য: বিশেষজ্ঞরা
অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে নানা তৎপরতার পরও শ্রম অভিবাসনের ক্ষেত্রে দালালদের দৌরাত্ম্য ঠেকানো যাচ্ছে না।
সোমবার (৪ মার্চ) রাজধানীতে বাংলাদেশ অভিবাসী মহিলা শ্রমিক অ্যাসোসিয়েশন (বমসা) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তারা এ কথা বলেন। তাদের পরামর্শ- দালালদের ঠেকাতে অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিদ্যমান আইনের ফাঁক-ফোকর বন্ধ করতে হবে।
সেই সঙ্গে তারা অভিবাসীদের হয়রানি কমাতে দক্ষতামূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও সরকারি পরিষেবা প্রদানকারীদের মধ্যে সমন্বয় নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে অভিবাসন ও উন্নয়ন বিষয়ক সংসদীয় ককাশের মহাসচিব মেহজাবিন খালেদ বলেন, 'এখনও অনেক অভিবাসী দালাল ধরে বিদেশে পাড়ি জমাচ্ছেন। এটি বন্ধ হওয়া দরকার।'
তিনি অভিবাসন প্রত্যাশীদের প্রশিক্ষণ প্রদান, বিশেষ করে যারা গৃহকর্মী হিসেবে বিদেশে যেতে চান, তাদের গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত মেশিন বা যন্ত্রপাতির ব্যবহারে অভ্যস্ত করে তোলার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আরও বলেন, 'এয়ারপোর্টের কর্মকর্তা যারা ডেস্কে বসেন, সহযোগিতা না করে তারা উল্টো যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তাদের সচেতনতার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এর ফলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের হয়রানি কমবে।'
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মাসুদ রানা বলেন, 'সাব রিক্রুটিং এজেন্ট নিয়োগ দিতে হবে। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে দায়ী বানাতে হবে। এটি জালিয়াতি ঠেকাতে সহায়ক হবে।'
সাবেক সংসদ সদস্য ও সংসদীয় ককাশের সদস্য অ্যাডভোকেট খোদেজা নাসরিন বলেন, 'অভিবাসন প্রক্রিয়ায় দালালদের দৌরাত্ম্য ও নারীরা বিদেশে কাজ করতে গিয়ে যে সহিংসতার শিকার হয়, তা কমাতে কাজ করতে হবে। এ ধরনের কর্মসূচিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে যুক্ত করতে হবে।'
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের ডেপুটি প্রগ্রাম ম্যানেজার ইশরাত পারভীন ইমা বলেন, 'টিটিসিগুলোতে শুধু মডিউল বেজ প্রশিক্ষণ না দিয়ে কিছু ভিডিও এবং যেটায় সহজে বোঝা যায়, এমন কিছুর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ করাতে হবে।'
অনুষ্ঠানে বক্তারা শ্রমিকদের যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ানোর বিষয়েও জোর দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বমসার চেয়ারম্যান লিলি জাহান, সেক্রেটারি জেনারেল শেখ রুমানা, উপদেষ্টা ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।