আকুর বিল পরিশোধের পর ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে ফরেক্স রিজার্ভ
এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) মাধ্যমে ১২৯ কোটি ডলারের আমদানি দায় পরিশোধের পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত ২ হাজার কোটি ডলারের নিচে নেমেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সিনিয়র একজন কর্মকর্তা জানান, গত সপ্তাহে আকুর জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের বিল পরিশোধ করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সবশেষ হিসাব অনুযায়ী, গত ৭ মার্চ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় এক হাজার ৯৯৯ কোটি বা ১৯.৯৯ বিলিয়ন ডলার। তবে একদিন আগেও (৬ মার্চ) রিজার্ভ ছিল দুই হাজার ১১৫ কোটি বা ২১.১৫ বিলিয়ন ডলার।
বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন টিবিএসকে বলেন, "রিজার্ভের অর্থ যেখান থেকে আসে ও ব্যয় হয়, এই দুটোর মধ্যে ভারসাম্য নেই। ফলে রিজার্ভ ধরে রাখা যাচ্ছিল না। বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা কমেছে। তবে এভাবে ধরে রাখাটা কতদিন সম্ভব হবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে। আমদানি নিয়ন্ত্রণের ফলে দেশের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। যার ফলে রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে"- বলেও মনে করেন তিনি।
ব্যাংকাররা বলছেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর সাথে কারেন্সি সোয়াপ শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা রিজার্ভ বাড়াতে সহযোগী ভুমিকা পালন করছে। তারপরও খরচের চাপে ঠেকানো যাচ্ছে না রিজার্ভের পতন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, "ফেব্রুয়ারি মাসে ২ বিলিয়নের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। তাছাড়া প্রতিনিয়ত ব্যাংকের সাথে কারেন্সি সোয়াপ হচ্ছে। এর কারণে গ্রস রিজার্ভ বাড়লেও আমদানি মূল্য পরিশোধের চাপে তা আবারও কমছে।"