শান্ত-হৃদয়ের ব্যাটে বাংলাদেশের লড়াইয়ের পুঁজি, কামিন্সের হ্যাটট্রিক
দুঃস্বপ্নের শুরুর পর গুছিয়ে নিয়েছিল বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ও লিটন কুমার দাসের ব্যাটে ভালোভাবেই এগোতে থাকে তারা। কিন্তু এই জুটি ভাঙতেই আবারও ছন্দপতন, কিছুক্ষণ পর শান্তও ফিরে গেলে পরে কেবল তাওহিদ হৃদয় যা লড়াই করলেন। শেষ দিকে হ্যাটট্রিক করে রানচাকায় লাগাম দিলেন প্যাট কামিন্স। তাতে যে সংগ্রহ মিললো, তা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মতো দলের বিপক্ষে স্বস্তিতে থাকার উপায় নেই।
শুক্রবার অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ১৪০ রান তুলেছে। বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৬টায় শুরু হওয়া ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং করা দলটি প্রথম ওভারেই উইকেট হারায়। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়ে চাপ সামাল দেন শান্ত ও লিটন।
এরপর ২০ রানেরও জুটি পায়নি বাংলাদেশ। ১৩ ইনিংসে কোনো হাফ সেঞ্চুরি না পাওয়া শান্ত আজ সাবলীল ব্যাটিং করলেও পঞ্চাশ ছুঁতে পারেননি। ৩৬ বলে ৫টি চার ও একটি ছক্কায় ইনিংস সেরা ৪১ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ২৮ বলে ২টি করে চার ও ছক্কায় ৪০ রানের কার্যকরী ইনিংস খেলেন ব্যাট হাতে দারুণ ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করে আসা হৃদয়।
কঠিন সময়ে থাকা লিটন ২৫ বলে ১৬ রান করেন। শেষ দিকে তাসকিন আহমেদ ৭ বলে একটি চারে অপরাজিত ১৩ রান করেন। বাংলাদেশের এই চারজনের বাইরে আর কেউ দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন।
ব্যাটিং অর্ডার পাল্টে আগে নামানো রিশাদ হোসেন আস্থার দাম দিতে পারেননি, ৪ বলে ২ রান করেন এই লেগ স্পিনার। সাকিব আল হাসান ১০ বলে ৮ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৩ বলে ২ রান করেন। এই ম্যাচে জাকের আলী অনিকের জায়গায় সুযোগ পাওয়া শেখ মেহেদি হাসান রানের খাতা খুলতে পারেননি।
প্যাট কামিন্স ৪ ওভারে ২৯ রানে ৩টি উইকেট নেন। ১৮তম ওভারের শেষ দুই বলে মাহমুদউল্লাহ ও শেখ মেহেদিকে ফেরান তিনি। ২০তম ওভারের প্রথম বেল হৃদয়কে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিক পূরণ করেন কামিন্স। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এটাই তার প্রথম হ্যাটট্রিক।
৪ ওভারে ২৪ রানে ২টি উইকেট পান লেগ স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। শুরুতেই বাংলাদেশের ইনিংসে আঘাত হানা অজি পেসার মিচেল স্টার্ক ৪ ওভারে ২১ রান খরচায় একটি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট নেন মার্কাস স্টয়নিস ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও।