পাসপোর্ট জালিয়াতিতে বেনজীরের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে: দুদক সূত্র
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট জালিয়াতিসহ বিভিন্ন অপরাধের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, বেনজীর পুলিশের পরিচয় গোপন করে বেসরকারি কর্মচারী হিসেবে পাসপোর্ট সংগ্রহ করেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) বেনজীরের পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে দুই অতিরিক্ত পরিচালকসহ পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ১৫ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।
দুদকের উপ-পরিচালক হাফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল আজ বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ৩টার দিকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।
জানা যায়, পাসপোর্ট নবায়নের সময় এ বিষয়টি শনাক্ত হয়েছিল, তিনি তার প্রভাব খাটিয়ে সেখান থেকে বেঁচে যান।
দুদক সূত্রে আরও জানা যায়, বেনজীর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত সরকারি চাকরিজীবী পরিচয়ে নীল রঙের অফিশিয়াল পাসপোর্ট করেননি। এছাড়াও, সুযোগ থাকার পরও নেননি লাল পাসপোর্ট।
জ্ঞাত আয়-বহির্ভূত বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত ১৮ এপ্রিল বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে দুদক। এ পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া বেনজীরের সম্পদগুলো বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
গত মে মাসের শুরুর দিকেই বেনজীর সপরিবারে দেশ ছেড়েছেন বলে জানা গেছে।
এরপর গত ১৩ জুন প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে দেশ ছাড়ার কথা স্বীকার করেন বেনজীর। ওইদিন ঢাকার বোট ক্লাবের সভাপতি হিসেবে পদত্যাগপত্রে এ ঘোষণা দেন তিনি। ক্লাবের উপদেষ্টা রুবেল আজিজের কাছে পাঠানো পদত্যাগপত্রে সাবেক এই আইজিপি বলেন, তিনি জরুরি কারণে বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে বিদেশে রয়েছেন বলে ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।