সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি
গত ২৪ ঘন্টায় সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। বৃষ্টি থামায় কমতে শুরু করেছে নদ-নদীর পানি। তবে পানি কমলেও আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে।
সিলেট জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্যমতে, বুধবার বিকাল পর্যন্ত জেলার ৬৪৬ টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৮ হাজার ৮২৩ জন আশ্রয় নিয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছেন প্রায় সাড়ে পাঁচশ' লোক।
সিলেটে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, বুধবার পানি কমলেও গত সোম ও মঙ্গলবার সিলেটে বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। এতে ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে নতুন করে অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেন।
সিলেট আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকাল ৬ টা থেকে বুধবার সকাল ৬ টা পর্যন্ত সিলেটে ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর বুধবার সকাল ৬ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছে ৪ মিলিমিটার।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মো সজিব জানান, সিলেটের আকাশে মেঘ রয়েছে। ফলে আগামী দুদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
তৃতীয় দফার এ বন্যায় সবচেয়ে আক্রান্ত উপজেলা গোয়াইনঘাট। বুধবার এ উপজেলায় পানি কমলেও সালুটিকর - গোয়াইনঘাট, গোয়াইনঘাট - রাধানগর ও হাতির পড়া - ফতেহপুর সড়কগুলো পানিতে নিমজ্জিত থাকায় এখনও যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শীর্ষেন্দু পুরকায়স্থ জানান, তৃতীয় দফায় ৯৮ জন মানুষ বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো), সিলেট সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সুরমা ও কুশিয়ারার পানি কিছুটা কমেছে। তবে সুরমার পানি কানাইঘাটে ও কুশিয়ারার পানি ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে এখনও বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টি কমায় সিলেটের পানি কমছে। উজানে বৃষ্টি বাড়লে নদীর পানি আরও বাড়তে পারে।