৩ ঘন্টা পর অবরোধ প্রত্যাহার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের
পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে প্রায় তিনঘণ্টা ঢাকা-আরিচা মহসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের পর বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
এসময় বিক্ষোভ থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়ে আন্দোলনকারীরা পুলিশকে জনগণের দাবির সাথে সংহতি জানিয়ে হামলা-মামলা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তারা জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।
আন্দোলন থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, 'আমাদের চাওয়া একটাই। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, অনগ্রসর জনগোষ্ঠী এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা রেখে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার করা হোক।'
আন্দোলনে পুলিশি বাধার বিষয়ে জিতু বলেন, 'কোটা সংস্কারের দাবিতে গত ১০দিন ধরে চলা আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আমরা আজও শান্তিপূর্ণভাবে মহাসড়ক অবরোধ করতে এসে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয়েছি। তবে আমরা সব বাধা উপেক্ষা করে একদফা দাবিতে মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছি। আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো। পুলিশ দিয়ে আমাদের আন্দোলন আটকানো যাবে না।'
আরেক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, 'আমরা মেধাবীরা কোটা সংস্কারের মতো একটা মহান দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছি। দায়িত্ব অপূর্ণ রেখে আমরা পড়ার টেবিলে ফিরতে পারি না। পুলিশ দিয়ে আমাদের আটকানো যাবে না।'
তিনি আরও বলেন, 'কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যাক্কারজনক পুলিশি হামলার নিন্দা জানাই। এই মূহুর্তে পুলিশের উচিত হবে লাখ লাখ মানুষের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে সব ধরনের হামলা-মামলা থেকে বিরত থাকা। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি থাকবে। নির্বাহী বিভাগ থেকে সুনির্দিষ্ট কোন সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আমরা কর্মসূচি চালিয়ে যাব।'
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকাল ৪টায় থেকে 'বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন'-এর ব্যানারে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা 'এক দফা' দাবি আদায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উভয় লেন অবরোধ করে এই বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় মহাসড়কে অনেকটা মুখোমুখি অবস্থান নেয় পুলিশ ও শিক্ষার্থীরা।
সরকারি চাকরির সব গ্রেডে ন্যূনতম কোটা (৫ শতাংশ) রেখে কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার করে সংসদে আইন পাসের দাবিতে এই আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।