আবেদ আলীর দেওয়া প্রশ্নে ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পাশ করেছেন অন্তত ১২ প্রার্থী
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, তার হাত ধরে অনেকেই বিসিএস ক্যাডার হয়েছে। সর্বশেষ ৪৬তম বিসিএসের অন্তত ১২ জন প্রার্থী তার প্রশ্নে প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। আদালত ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে।
সূত্র আরও জানায়, গত ৫ জুলাইয়ের পিএসসির অধীনে রেলওয়ে প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করেন পিএসসির অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম।
আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে সাজেদুল ইসলাম জানান, রেলওয়ে প্রকৌশলী পদের পরীক্ষা জন্য চার সেট প্রশ্নপত্রের খসড়া করা হয়, যা জমা ছিল এক পিএসসি মেম্বারের রুমে তালাবদ্ধ একটি ট্যাংঙ্কে। ঝাড়ুদার ওই কক্ষ পরিষ্কারের জন্য খুললে সেখানে ঢুকে পড়েন অফিস সহায়ক সাজেদুল। পরে তালা কেটে চার সেট প্রশ্নের ফটোকপি করেন। বিষয়টি যাতে ওই পিএসসি মেম্বার বা অন্য কেউ বুঝতে না পারেন সেজন্য অন্য এমন একটি তালা ঝুলিয়ে দেন ট্যাংঙ্কে, যাতে যেকোনও চাবি দিয়ে তা খোলা যায়।
পেশায় ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন (৩০), পরিবার নিয়ে মতিঝিলের এজিবি কলোনিতে থাকেন। সম্প্রতি পিএসসির অধীনে বিভিন্ন প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় সাখাওয়াত ও তার ভাই সাইম (২০) সহ ১৭জনকে আটক করে সিআইডি। পরে নিজের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন সাখাওয়াত।
সাখাওয়াত আদালতকে বলেন, সাজেদুলের সঙ্গে তার পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে। রেলওয়ে প্রকৌশলী পদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার দুই দিন আগে তিনি সাজেদুলের একটি গোডাউন ব্যবহারের অনুমতি নেন। পরবর্তীতে সেখানে ৪০ থেকে ৪৫জন শিক্ষার্থীর থাকার ব্যবস্থা এবং তাদেরকে ওই রুমে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করেন। চুক্তিবদ্ধ শিক্ষার্থীরা যাতে প্রশ্নপত্র অন্য কাউকে দিতে না পারে সেজন্য তাদের ফোন রেখে দেওয়া হতো।