কোটা সংস্কার আন্দোলন: বঙ্গভবনে স্মারকলিপি দিলেন পদযাত্রার প্রতিনিধি দল
ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে গণ পদযাত্রা কর্মসূচি শেষ হয়েছে। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্যাম্পাসে মিছিল করে ফিরে যাচ্ছে।
এর আগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১২ জন সমন্বয়ক বঙ্গভবনে পুলিশি পাহারায় প্রবেশ করে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। পরবর্তীতে পুলিশি নিরাপত্তায় তাদেরকে হকি স্টেডিয়ামের মোড়ে নিয়ে আসা হয়।
আজ (রোববার) বেলা ২টা ৪০ মিনিটের দিকে গণ পদযাত্রা থেকে তারা বঙ্গভবনে পুলিশি প্রহরায় প্রবেশ করেন। এসময় গণ পদযাত্রার মিছিল মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে।
কয়েকজন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ, নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, আরিফ সোহেল, নিদ্রা, সুমাইয়া৷ আশিক, কাদের, মাহিন, হাসিব, হান্নান মাসুদ ও সিফাত বঙ্গভবনের ভেতরে গিয়েছিলেন।
এদিকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বেলা ১টা ৪৫ এর দিকে বায়তুল মোকাররম এর সামনের পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবন অভিমুখে অগ্রসর হয়েছিল। ফলে বঙ্গভবনের সামনে পুলিশ সতর্ক অবস্থান নেয়।
এর আগে বায়তুল মোকাররমের সামনে শতাধিক পুলিশ ব্যারিকেডসহ সজ্জিত অবস্থায় প্রস্তুত ছিল। এছাড়াও সচিবালয়ের বিভিন্ন গেটের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছিল। একইসাথে গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট অবরোধ করা হয়।
আজ (রবিবার) বেলা ১২টায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এই পূর্বঘোষিত কর্মসূচি রাষ্ট্রপতি ভবন বঙ্গভবনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।
বেলা ১১টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে জমায়েত হয়।
কর্মসূচিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা কলেজ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেছিল।
সকালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেছিলেন, "আমাদের গণ পদযাত্রা বঙ্গভবন অভিমুখে। টিএসসি, শাহবাগ, মৎসভবন হয়ে আমাদের পদযাত্রা অব্যাহত থাকবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো পর্যায়ে বাধা দিলে আমাদের প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির নিকট স্মারকলিপি জমা দেবে।"
গতকাল (শনিবার) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, "আমাদের ছাত্র ধর্মঘট চলবে। ঢাকার বাইরে বিভিন্ন জেলায় শিক্ষার্থীরা আগামীকাল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবেন।"