দেশের প্রথম ফিক্সড ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ‘জিপিফাই’ নিয়ে এল গ্রামীণফোন
বাংলাদেশের প্রথম ফিক্সড ওয়্যারলেস ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা 'জিপিফাই' চালু করেছে টেলিকম অপারেটর গ্রামীণফোন।
এর মাধ্যমে দ্রুতগতির তারহীন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা এখন ঘরে বসেই পাওয়া যাবে। নিকটতম গ্রামীণফোন টাওয়ারের সঙ্গে তারবিহীনভাবে সংযুক্ত একটি আধুনিক ওয়াইফাই রাউটার জিপিফাই ব্যবহারকারীদের সারা দেশে বাড়ি, অফিস বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে নির্ভরযোগ্য উচ্চ-গতির ইন্টারনেট সংযোগ দেবে।
সোমবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর একটি হোটেলে এই সেবার উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিপি হুয়াওয়ের দুটি তৈরি ফিক্সড ওয়্যারলেস অ্যাকসেস (এফডব্লিউ) প্রযুক্তির রাউটার উন্মোচন করেছে। ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে ১০টি ডিভাইসকে সংযুক্ত করতে সক্ষম রাউটারের দাম ৪ হাজার টাকা ও ৩০টি পর্যন্ত ডিভাইসকে সংযুক্ত করতে সক্ষম রাউটারের দাম পড়বে ৭ হাজার ৫০০ টাকা।
জিপিফাই তিনটি মাসিক আনলিমিটেড প্যাকেজ দিচ্ছে। প্রথম প্যাকেজের মাসিক বিল ১ হাজার টাকা, যার সর্বোচ্চ গতি হবে ২৫ এমবিপিএস। দ্বিতীয় প্যাকেজের মাসিক বিল ১ হাজার ৩০০ টাকা, সর্বোচ্চ গতি ৩০ এমবিপিএস। আর প্রিমিয়াম প্যাকেজের মাসিক বিল ১ হাজার ৯০০ টাকা, সর্বোচ্চ গতি ৪০ এমবিপিএস। তিনটি প্যাকেজেই বিনামূল্যে ২-৫টি ওটিটি সাবস্ক্রিপশন রয়েছে।
গ্রামীণফোনের কর্মকর্তারা জানান, ব্যবহারকারীরা তাদের মাইজিপি অ্যাপ বা যেকোনো ফিজিক্যাল জিপি স্টোর থেকে জিপিএফআইয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এরপর ব্যবহারকারীর ঠিকানার নিকটস্থ কাস্টমারকেয়ার সেন্টার থেকে আবেদনকারী গ্রাহকের বাসা বা প্রতিষ্ঠান দেখে আসা হবে। সেখানকার নেটওয়ার্ক পরিস্থিতি বুঝে গ্রাহককে জিপিফাই সেবা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে ইনস্টলেশন চার্জ ছাড়াই একটি সিম কার্ডসহ ওয়্যারলেস সংযোগ রাউটার ইনস্টল করে দেওয়া হবে।
গ্রামীণফোন বলে, সারা দেশে উচ্চ-মানের ইন্টারনেট সুবিধার ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যাতে ব্যবহারকারীরা যেকোনো জায়গা থেকে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সংযোগ উপভোগ করতে পারেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, '"জিপিফাই আনলিমিটেড" বাংলাদেশের ডিজিটাল দৃশ্যপটকে বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।'
প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট অবকাঠামো গড়ে না ওঠায় জিপিফাই দেশব্যাপী জনপ্রিয়তা বলে আশা করছে গ্রামীণফোন।
বিটিআরসির তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশে ১৪ কোটির বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে। তাদের মধ্যে মাত্র ১.৩৪ কোটি শুধু ব্রডব্যান্ড সংযোগ ব্যবহার করে, আর মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারীর সংখ্যা ১২.৮৭ কোটি।