আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে পড়ানো হলো সবুজের জানাজা
ঢাকা কলেজের নিহত শিক্ষার্থী মো. সবুজ আলীর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অ্যাজ বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ'র আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে তার জানাজা পড়ানো হয়।
সবুজ আলী ঢাকা কলেজের ১৮-১৯ সেশনের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি ঢাকা কলেজের নর্থ হলের ২০৫ নম্বর রুমে থাকতেন। সবুজের বাবার নাম বাদশা মিয়া। তার বাড়ি নীলফামারী জেলার সদর থানা এলাকায়। সবুজ আলীকে নিজেদের কর্মী বলে দাবি করেছে ছাত্রলীগ।
জানাজার সময় বক্তব্য দেন সবুজের বড় ভাই। তিনি বলেন, 'আমাদের মা মানুষের বাড়ি বাড়ি কাজ করে। আমারও একটা বাচ্চা আছে। সবুজকে মাঝেমধ্যে কিছু টাকা দিতাম। আমি টঙ্গী সরকারি কলেজে ডিগ্রি প্রথম বর্ষে পড়ার সময় সবুজ ঢাকা কলেজে ভর্তি হয়। দুই ভাই একসাথে পড়াশোনার খরচ চালানো কঠিন– তাই আমি লেখাপড়া ছেড়ে দেই। আমার ভাইয়ের হত্যার জন্য যারা দায়ী, তাদের বিচার চাই।'
এর আগে সবুজের পরিচয় সম্পর্কে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউসুফ। শিক্ষার্থী মৃত্যুর খবর পেয়ে রাতেই তিনি ঢামেক হাসপাতালে যান। এসময় তার সঙ্গে হল তত্ত্বাবধায়ক, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ও অন্য শিক্ষকরা ছিলেন।
মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ঢাকা কলেজের সামনে থেকে সায়েন্সল্যাব মোড় পর্যন্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সাথে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগ। এরপর সন্ধ্যার দিকে সিটি কলেজের সামনে আহত অবস্থায় তাকে পড়ে থাকতে দেখে পথচারীরা পাশের পপুলার হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নিয়ে যাওয়া হলে সন্ধ্যা সাতটার দিকে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সবুজকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে ওই সময় তার পরিচয় জানা যায়নি।
এদিকে, 'কোটাবিরোধীদের হামলায় মো. সবুজ আলী নিহতের ঘটনায়' গভীর শোক জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বুধবার (১৭ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক শোকবার্তায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে ছাত্র সংগঠনটি।
শোকবার্তায় সংগঠনটি জানায়, 'বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের দেশব্যাপী তাণ্ডবের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে এবং অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছে।'