আন্দোলন ঘিরে গ্রেপ্তার, মতপ্রকাশ ও সমাবেশের অধিকার ব্যাহত হওয়ার বিষয়ে জানতে চেয়েছেন কূটনীতিকরা
ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ব্যানারে চলমান কর্মসূচির প্রেক্ষিতে গ্রেপ্তার, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সমাবেশ ও সংগঠন করার অধিকার ব্যাহত হওয়ার বিষয়ে সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও উন্নয়ন সহযোগীদের এক ব্রিফিংয়ের পর পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন সাংবাদিকদের একথা জানান।
ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া ২৩ কূটনীতিকের মধ্যে মূলত পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতিনিধিরা এসব বিষয়ে প্রশ্ন করেন বলে জানান তিনি।
এতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, ভারত, রাশিয়া, মরক্কোসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেসসচিব নাঈমুল ইসলাম খান কূটনীতিকদের নানান তথ্যের একটি প্রেজেন্টেশন দেন।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, 'এখন তারা অ্যারেস্টের সংখ্যা, কোনো ধরনের ফোর্স ইউজ করা হচ্ছে কি-না, বা ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন, ফ্রিডম অব এসোসিয়েশন বা ফ্রিডম অব অ্যাসেম্বলি– এগুলো ব্যহত হচ্ছে কি-না এই ইস্যুগুলি ন্যাচারালি তারা কয়েকজন বলেছেন। যদিও সরাসরি তারা হিউম্যান রাইটসের (মানবাধিকারের) বিষয়ে কোনো কথা বলেননি।'
'আমরা বলেছি, যে গতকালকে (বুধবার) শান্তিপূর্ণভাবে যেসব সমাবেশ হয়েছে– সেগুলোতে কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু, যেখানে দেখা গেছে শান্তি বিঘ্নিত হয়েছে, বা যেখানে না করা হয়েছে– তার ওপর যদি জোর করে যাওয়ার চেষ্টা করেছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে কিছুটা বাধা দেওয়া হয়েছে। এবং কিছুক্ষেত্রে অ্যারেস্টও হয়েছে,' যোগ করেন তিনি।
মোমেন বলেন, কিন্তু সার্বিকভাবে যারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করেছে– তাদেরকে কোনো সমস্যায় পড়তে হয়নি। এটাই প্রমাণ করে, যে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা যারা এখন মাঠে আছেন– তারা যথেষ্ট সহিষ্ণুতা দেখাচ্ছেন, বা তারা আইনের মধ্যে থেকে তাদেরকে বুঝাতে চেষ্টা করছেন। কােনাে কোনো ক্ষেত্রে তারা সফল হয়েছেন বা আবার কোনো ক্ষেত্রে সফল হননি।
তিনি বলেন, 'আজকেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও শিক্ষকরা কর্মসূচি করেছেন। সেখানে বাধা দেয়া হয়েছে –এমন কিছু দেখি নাই।'