‘গণহত্যা’র অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ১০ জনের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরেকটি মামলা
কোটা সংস্কারের আন্দোলন চলাকালে 'গণহত্যা, হত্যা ও নির্যাতন'-এর অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় একটি মামলা করা হয়েছে। আন্দোলন চলাকালে নিহত মুন্সীগঞ্জের মো. মেহেদীর বাবা মো. সানাউল্লাহ এ মামলার আবেদন করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকাল ৫টায় বাদীর পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম অভিযোগটি দাখিল করেন।
নিহত মেহেদীর বাবা মো. সানাউল্লাহ দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড (টিবিএস)-কে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
অ্যাডভোকেট গাজী এম এইচ তামিম জানান, অভিযোগটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ধানমন্ডিস্থ তদন্ত সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয় এবং সেটি রেকর্ড করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ আলী আরাফাত, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন আর রশিদ, ডিএমপির কাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান ও র্যাবের সাবেক মহাপরিচালক ব্যারিস্টার হারুন আর রাশিদ।
এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কয়েকজন অজ্ঞাতনামা অস্ত্রধারী নেতা-কর্মী ও সংগঠন হিসাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও এর অঙ্গসংগঠন গুলোকেও আসামি করা হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, গত ২০ জুলাই বিকাল ৫টায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্রজনতার সঙ্গে আন্দোলন করছিলেন মেহেদী। পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা- কর্মীরা নির্বিচারে তাদের ওপর গুলি চালায়। এসময় মেহেদীর মাথায় গুলি লেগে মগজ বের হয়ে যায় এবং সাথে সাথে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে মারা যান। এরপর লাশ বাড়িতে এনে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
একইভাবে গত ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৩৯ জন আন্দোলনরত ছাত্র জনতাদের আসামি পুলিশ/র্যাব সদস্য ও আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতার গুলিতে করে ও কুপিয়ে গণহত্যা করা হয়।