এমপক্স মোকাবিলায় যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে ঢাকা বিমানবন্দরে
এমপক্সের উপসর্গ থাকা যাত্রীদের শনাক্তে একটি টিম গঠন করেছে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য অফিস।
আজ শনিবার (১৭ আগস্ট) শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এমপক্স নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার প্রেক্ষাপটে গতকাল শুক্রবার বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ, বিভিন্ন এয়ারলাইন, বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য অফিস ও সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল একটি সভা করেছে। ওই বৈঠকে নেওয়া হয়েছে এ সিদ্ধান্ত।
রোগটি বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের মধ্যে লিফলেট বিলি করছে, এছাড়া অ্যারাইভাল ডেস্কগুলোতে সার্বক্ষণিকভাবে চিকিৎসকদের রাখা হচ্ছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের গায়ের তাপমাত্রা মাপতে আর্চওয়ে থার্মাল স্ক্যানার ব্যবহার করছে। কোনো যাত্রীর দেহে এমপক্সের লক্ষণ শনাক্ত হলে প্রয়োজনে তাঁকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল ও কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্সে করে নেওয়া হবে।
একইসঙ্গে এয়ারলাইনগুলোকে সজাগ থেকে লক্ষণযুক্ত কোনো যাত্রীর বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগকে তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশে আসার ২১ দিনের মধ্যে যেসব যাত্রীর দেহে এমপক্সের লক্ষণ দেখা দিবে– তাদেরকে ১০৬৫৫ নম্বরে ফোন করার অনুরোধ করা হয়েছে।
এমপক্সের লক্ষণ বা উপসর্গগুলোর মধ্যে আছে – জ্বর, মাথাব্যথা, ফোলা, পেশিতে ব্যথা, অবসন্নভাব, ত্বকে ফুসকুড়ি বা অত্যন্ত চুলকায় এমন আস্তর দেখা দেওয়া।
তবে লসিকা গ্রন্থির ফোলাভাব এমপক্সের একটি বৈশিষ্ট্যযুক্ত লক্ষণ।