১ টাকায় মুরগি-মাছ, এমনকি ২ ডজন ডিমও!
তিন কেজি চাল, দুই ডজন ডিম, কিংবা আস্ত একটা মাছ বা মুরগি, যেটাই কিনুন, প্রতিটি পণ্যের মূল্যই মাত্র ১ টাকা। শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও খাগড়াছড়িতে এমনই এক বাজারের ব্যবস্থা করে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। মূলত জেলার বন্যাদুর্গত মানুষদের সহায়তায় ভিন্নধর্মী এই বাজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট স্কুল মাঠে এ বাজার বসে। বন্যাদুর্গত প্রায় ৫০০ পরিবার এখান থেকে তাদের প্রয়োজনীয় দ্রব্য সংগ্রহ করেন।
সরেজমিন দেখা যায়, বাজারটিতে চাল, ডাল, আটা, তেল, ডিম, মাছ, মুরগি ও শিক্ষা উপকরণসহ মোট ১৯ ধরনের পণ্য বিক্রি হচ্ছে। এসব পণ্যের মধ্য থেকে একজন ক্রেতা পছন্দমতো নির্দিষ্ট পরিমাণ অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাত ধরনের পণ্য কিনতে পারছেন। প্রতিটি পণ্যের মূল্য মাত্র এক টাকা। তবে বাজার মূল্য অনুযায়ী, প্রত্যেক ক্রেতাকে প্রায় ৮০০ টাকা মূল্যের পণ্য প্রদান করা হয়।
খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি ও মহালছড়ির প্রত্যন্ত এলাকার ৫০০ পরিবারের মাঝে এসব পণ্য বিক্রি করা হয়।
এর আগে সংগঠনটির স্বেচ্ছাসেবকরা ঘুরে ঘুরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে টোকেন বিতরণ করেন। টোকেনপ্রাপ্ত পরিবারগুলোর কাছেই আজ এসব পণ্য বিক্রি করা হয়।
খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন ও বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের এ বাজারের উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়ন'র কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান। তিনি বলেন, খাগড়াছড়িতে বন্যাদুর্গতদের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে। প্রথম থেকে বিদ্যানন্দ কাজ করে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী সবার সহযোগিতা নিয়ে উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
অনুষ্ঠানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুটি পরিবারকে নতুন ঘর, দুটি পরিবারকে গবাদি পশু ও তিনটি পরিবারকে দোকানের মালামাল প্রদান করা হয়।
বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড ডিরেক্টর মো. জামাল উদ্দিন বলেন, আমরা প্রথাগত ত্রাণের বাইরে বন্যা দুর্গতদের নিজের পছন্দমতো পণ্য কেনার সুযোগ করে দিয়েছি।' এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় খাগড়াছড়ি সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল আবুল হাসনাত জুয়েল, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন'র জিএসও-টু (আই) মেজর জাবির সোবহান, বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের বোর্ড মেম্বার মো. জামাল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।