লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালীতে মানবসৃষ্ট বন্যা রোধে নদী-খাল দখলমুক্ত করার নির্দেশনা চেয়ে রিট
নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার সাত উপজেলার পানিবন্দি লাখ লাখ মানুষের সুরক্ষায় ভুলুয়া নদীসহ সব খাল দখলমুক্ত করার দাবিতে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে রিটে মানবসৃষ্ট বন্যা রোধে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে এ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। তিনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রিটে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, নদী সংরক্ষণ কমিশনের চেয়ারম্যান, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি), পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সাত উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়েছে।
নদী ও খাল দখল রোধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা ও ব্যর্থতা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে রিটে। একই সঙ্গে ভুলুয়া নদী ও খাল দখলদারদের কাছ থেকে খরচ আদায় করে সেগুলো দখলমুক্ত করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
আইনজীবি আবদুস সাত্তার পালোয়ান জানান, দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে তিনি জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেছেন।
গত ২৩ আগস্ট টিবিএস-এ 'ভুলুয়া নদীর দখল ও অব্যবস্থাপনা: পানিবন্দি লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালীর ৩ লাখ মানুষ' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
'প্রশাসন যতক্ষণ না নদী ও খালগুলোকে দখলমুক্ত করবে ততক্ষণই এখানে জলাবদ্ধতা থাকবে। এ জলাবদ্ধতা থেকে জনগণকে রক্ষা করতে ভুলুয়া নদীসহ সব খাল দখলমুক্ত করতে নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করেছি,' বলেন আইনজীবী সাত্তার।
তিনি বলেন, '১৯৮৮ সালের পর এ এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি এতটা ভয়াবহ হয়নি আগে কখনো। পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে সবার কল্পনার বাইরে।'
এখন অনেক মানুষ পানিতে আটকা পড়ে আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, 'বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ার পর রান্নাবান্না তো দূরে থাক, তিনবেলা খাবার ঠিকমতো খেতে পারছেন না অনেকে। নারী, শিশু ও পুরুষ নির্বিশেষে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।'