আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রতিপক্ষকে ১০ রানে গুটিয়ে ৫ বলে জয়
শিরোনামে ঠিকই পড়েছেন, এটা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচই। ২০ ওভারে ম্যাচে ১০ রানেই ইনিংস শেষ, বিপক্ষ দল জয় তুলে নেয় ৫ বলেই। অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে, তবে সহযোগী দেশগুলোর টি-টোয়েন্টি ম্যাচকে আইসিসি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলা চলছে। এই যেমন ৫ বলে জেতা দলও বিশ্ব রেকর্ড গড়তে পারেনি, আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ২ বলে জেতার রেকর্ডও আছে।
তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এশিয়ার অঞ্চলের বাছাই পর্বে সিঙ্গাপুর ও মঙ্গোলিয়ার মধ্যকার ম্যাচে বেশ কয়েকটি রেকর্ড হয়েছে। মালয়েশিয়ার বাঙ্গিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ৫ বল খরচায় ৯ উইকেটে জেতে সিঙ্গাপুর, তখনও তাদের হাতে ১১৫ বল। যদিও বল হাতে রেখে জেতার দিক থেকেও এটা বিশ্ব রেকর্ড হয়নি, তবে তালিকায় জায়গা পেয়েছে।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ১০ ওভারে ১০ রানে অলআউট হয় মঙ্গোলিয়া। টি-টোয়েন্টিতে এটাই সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। অবশ্য এটা যৌথভাবে সর্বনিম্ন, গত বছর আইল অব ম্যানও ১০ রানে অলআউট হয়, স্পেন ম্যাচ জেতে ২ বলেই। মঙ্গোলিয়ার ইনিংসের সর্বোচ্চ ২ রান করেন করেন দুজন। এক রান করে করেন চারজন, ২ রান আসে অতিরিক্ত থেকে। দলটির ৫ জন ব্যাটসম্যানের রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন।
জবাবে একটি করে চার ও ছক্কায় ৫ বলেই জয় নিশ্চিত হয়ে যায় সিঙ্গাপুরের, এর মধ্যে একটি উইকেটও হারায় তারা। ১১৫ বল হাতে রেখে জেতে দলটি। বল হাতে রেখে জেতার দিক থেকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়। প্রথমটি স্পেনের দখলে, ১১৮ বলে হাতে রেখে আইল অব ম্যানকে হারিয়েছিল তারা।
মঙ্গোলিয়ার ইনিংসে ধস নামান সিঙ্গাপুরের হার্শা ভারদ্বাজ। দেশটির এই লেগ স্পিনার ৪ ওভারের প্রথম দুই ওভারে কোনো রান খরচা করেননি। পরের দুই ওভারে মাত্র ৩ রানে তুলে নেন ৬ উইকেট। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটা দ্বিতীয় সেরা বোলিং। ৮ রান ৭ উইকেট নেওয়া মালয়েশিয়ার সিয়াজরুল ইদ্রুস আন্তর্জাতিক ও স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটি দখলে রেখেছেন।